বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের শীর্ষ তারকাভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। এই প্রজন্মের গুনী নির্মাতাসহ পুরোনো, নবীন পরিচালকদের কাছে আস্থার এক নাম মেহজাবীন চৌধুরী।
তবে মেহজাবীন কাজ করেন খুব বুঝে শুনে। গল্প এবং চরিত্র ভালো হওয়াটাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেইসাথে পরিচালকের বিষয়টিও চলে আসে, নির্মাণে তিনি কতোটা বিচক্ষণ, পারদর্শী। বছরজুড়ে নানান কাজে মেহজাবীন ব্যস্ত থাকলেও আজকের দিনটি অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল মেহজাবীনের ঐচ্ছিক বিরতির দিন। কাজের ধারাবাহিকতা থাকলেও আগের দিন কাজ করেন, পরেরদিনও কাজ করেন।
কিন্তু ১৯ এপ্রিলটা তিনি নিজেকে কাজ থেকে বিরত রাখেন। কারণ এই দিন তার জন্মদিন। জন্মদিন নিয়ে তার কখনোই কোন বিশেষ আয়োজন থাকেনা। দিনটিতে তিনি বিশ্রামে থাকেন এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান একান্তই নিজের মতো করে।
মেহজাবীন চৌধুরী জানান, আগামী ঈদকে লক্ষ্য করে এরইমধ্যে তিনি শিহাব শাহীন, ভিকি জায়েদ, রাফাত মজুমদার রিংকু, মহিদুল মহিম’র পরিচালনায় নাটকের কাজ শেষ করেছেন। অপূর্ব ও নিশো’র সঙ্গে আগে শেষ হওয়া কয়েকটি নাটক আগামী ঈদে প্রচারে আসবে বলে জানান তিনি। এছাড়া শাহেদ শরীফ খান, জোভান, তৌসিফ, ইয়াশ রোহান, খায়রুল বাসার, সুদীপের সঙ্গেও ঈদ নাটক প্রচার হবে আগামী ঈদে।
দীর্ঘ একযুগের পথচলায় এসেও মেহজাবীন নিজের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শীর্ষ তারকাভিনেত্রী- এটা কখনোই মাথায় আনিনা, মাথায় আনলেই আমার কাজ খারাপ হওয়া শুরু হবে। আমি প্রতিদিনই পরিচালক, সহশিল্পীদের কাছ থেকে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি। প্রতিদিনই মনে হয় আমি একেবারেই নতুন। পাশাপাশি আমি তেমন গল্পই খুঁজি যেখানে আমি নতুন কিছু করতে পারবো। সত্যি বলতে কী পৃথিবীর অনেক গল্পের কাজই করা শেষ। এখন আমরা যে কাজগুলো করছি সেগুলো বলা যায় পুরোনো কাজ। সেই কাজগুলোই অর্থাৎ পুরোনো গল্প নতুন করে উপস্থাপন করা।
কিন্তু সেই নতুন করে উপস্থাপনটাই আসলে কম পাই। বাজেটসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় এবং স্ক্রিপ্ট রাইটারের স্বাধীনতা থাকেনা বলে দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জিং গল্প এখন কমই আসে। তারপরও আমি আশাবাদী। ধীরে সুস্থে হলেও আমাদের ইÐাষ্ট্রি এগিয়েই যাচ্ছে। আর আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ, জন্মদিনটাও সাধারণভাবেই উদযাপন করবো পরিবারের সঙ্গে।’