এসেছে শরৎ, হিমের পরশ/লেগেছে হাওয়ার পরে/সকাল বেলায় ঘাসের আগায়/শিশিরের পথ ধরে- শরৎ এলে মনে জাগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বার্তা বিশেষ।
শ্রাবণের অবিরত বৃষ্টির বিরাম শেষে আগমন ঋতুরাণী শরৎকালের। সকাল বেলায় ঘাসের উপর স্নিগ্ধ শিশিরের আলতো ছোঁয়া, আকাশের বুকে সাদা মেঘের আনাগোনা, ঝলমলে রোদ আর হিমেল হাওয়ার মিষ্টি পরশে পৃথিবী যেন অপরূপ রূপের মহিমায় পরিণত হয়।
আকাশের প্রান্তর ছুঁয়ে মালার মতো উড়ে বেড়ায় পাখিদের ঝাক। আহা কি দারণ দৃশ্য! ধানের ক্ষেতের মাঠ হয়ে ওঠে সবুজের সমারোহ। নদীর তীরে অপরূপ সৌন্দর্যে সুশোভিত হয় সাদা কাশফুল। এ যেন এক অনন্য শুভ্রতায় ঢেকে যায় প্রকৃতি। রাতের আকাশে স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না শরতের অনন্য রূপ।
নিজের চোখে শরতের জ্যোৎস্না না দেখলে, অনুভব করা যাবে না- শরৎ কেমন রূপের রাণী। রাতের আকাশে মেঘমুক্ত জ্যোৎস্নায় যেন রূপকথার পরীরা ডানা মেলে আসে প্রকৃতিতে। শরতের জ্যোৎস্নার মোহিত রূপ আবেগাল্পুত করে নব উদ্যোমে ছুটে চলা দামালদের। কবিরা কবিতা লেখে যায়, ঋতুরাণীকে নিয়ে, প্রেয়সীর সাথে শরতের জ্যোৎস্না উপভোগ করার জন্য চাতক হয়ে থাকে প্রিয়জন। কাশফুলের সাথে সখ্যতা গড়তে আর সাদা মেঘের ভেসে ভেড়ানো- আবেগাল্পুত করে প্রকৃতি প্রেমিদের। এ যেন এক অপরূপ রূপের মহিমা ঋতুরাণী শরতের
আমার বার্তা/ এইচ এইচ এন