লিভারপুলে আরও দুই বছরের জন্য কোচ হিসেবে থেকে যাচ্ছেন জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। বিকেলে অল রেডদের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করেন তিনি। এরপর এক ভিডিওতে জানান, কেন তিনি সিদ্ধান্ত বদলে থাকছেন আরও দুই বছর, সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে দেন, স্ত্রী উলা স্যান্ডরকের এক কথাতেই লিভারপুলে থাকতে রাজি হয়ে গেছেন তিনি।
লিভারপুলের সঙ্গে ক্লপের এর আগের চুক্তিটা ছিল ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। সেই মেয়াদ শেষে অখÐ অবসর চান বলে জানিয়েছিলেন কোচ ক্লপ। তবে নতুন চুক্তি মোতাবেক তা আর হচ্ছে না। লিভারপুল যে তাকে আরও দুই বছরের জন্য বেধে ফেলেছে!
চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়ে লিভারপুলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে ক্লপকে বলতে শোনা যায়, ‘একটা ঘোষণা দেওয়ার আছে। আগের বারের মতো, অনেকের বিষয়টা খুব পছন্দ হবে, অনেকের তেমন পছন্দ হবে না। যদি পছন্দ না হয়, তাহলে ভিডিওটা বন্ধ করে দিতে পারেন। আমি এখানে আরও দুই বছর থেকে যাচ্ছি। শুধু আমিই নই, আমার সহকারীরাও থাকছেন, এটা বরং বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
এরপরেই এলো তার থেকে যাওয়ার কারণ, যেখানে তিনি আগে বলেছিলেন ২০২৪ সালের পর একটু বিশ্রাম চান। ক্লপ জানালেন, ‘আমরা এটা করছি, কারণ উলা থাকতে চায়। একজন ভালো স্বামী হিসেবে আপনার স্ত্রী যখন থেকে যেতে চাইবে, তখন আপনি কী করবেন? আপনিও থেকে যাবেন। এটাই একমাত্র কারণ নয়, অনেক কারণের মধ্যে একটি।’
স্ত্রী উলার সঙ্গে ২০০৫ সাল থেকে একই ছাদের নিচে থাকছেন ক্লপ। দু’জনে লিভারপুলে আছেন সাড়ে ছয় বছর ধরে। ইংলিশ জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ততা চলে এসেছে। সেই থেকেই হয়তো, উলা থেকে যেতে চেয়েছেন। সেটাই নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে ক্লপের সিদ্ধান্তে।
তবে এটাই একমাত্র নয় অবশ্য। লিভারপুলে এসেই ক্লপ বিশ্ব ফুটবলে বাড়তি পরিচিতি পেয়েছেন। দলকেও বিশ্বসেরা বানিয়েছেন, এই ক্লাবটির সঙ্গে যে তিনি আরও বহু বছর থাকতে চাইবেন, তা বলাই বাহুল্য।
তবে তাই বলে ক্লপের স্ত্রীর সিদ্ধান্তটা এখানে কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় না। দিনশেষে সেটাই তো কোচ ক্লপ ফলাও করে বললেন জার্মান এই কোচ!
ক্লপের স্ত্রী উলা ব্যক্তিগত জীবনে একজন কথাসাহিত্যিক। স¤প্রতি তিনি প্রকাশ করেছেন একটি শিশুতোষ সাহিত্যের বই। এর বাইরেও তার পরিচয় হচ্ছে দানবীরের। তার এই কাজের কারণে জার্মানিতে তাকে ‘ফুটবলের ফার্স্ট লেডি’ও বলা হতো।