শেষ দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আশার পালে হাওয়া দিয়েছিলেন ম্যাথু কুনেমান। শেষ বলে তার দরকার ছিল ৪ রান।
কিন্তু বলটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি ক্যাচ তুলে দিলেন কাভারে। রোমাঞ্চকর জয়ে ৩০ বছরের অপেক্ষা শেষ করল শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোয় মঙ্গলবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থটিতে ৪ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে ৩-১ ব্যবধানে। ২০১০ সালের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। আর ঘরের মাঠের সর্বশেষ সিরিজ জয় এসেছিল ৩০ বছর আগে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ৩৪ রানেই তারা হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও চারিথ আশালাঙ্কা মিলে দলকে উদ্ধার করেন। দুজন গড়েন ১০১ রানের জুটি।
তাদের জুটি ভাঙে ৬১ বলে ৬০ রান করে ম্যাক্সওয়েলে হাতে ক্যাচ দিয়ে মিচেল মার্শের বলে ফিরে গেলে। তার বিদায়ের পর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লঙ্কানরা। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন আশালাঙ্কা।
১০৬ বলে ১১০ রান করে দলীয় ২৫৮ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। শেষ অবধি ২৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুই উইকেট করে নেন মিচেল মার্শ, কুনেমান ও প্যাট কামিন্স।
এরপর জবাব দিতে নেমে দিমুথ করুণারত্নের বলে ডাক মেরে সাজঘরে ফেরত যান অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ওয়ার্নার ও মার্শ মিলে সামাল দেন শুরুর ধাক্কা। তাদের দুজনের জুটি ভাঙে মার্শের বিদায়ে।
ওয়ার্নার নিজের মতো করে আগলে রাখেন এক প্রান্ত। ৪৯ বলে ফিফটিতে পা রেখে এগিয়ে যান আরও সামনে। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মার্নাস লাবুশেন। এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন তিনি।
এরপর ওয়ার্নার টিকে থাকলেও পরপর তিন ওভারে হেড, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়ার্নারের বিদায়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। লঙ্কানদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ওয়ার্নারকে বিদায় করেন ধনাঞ্জয়া। ৯৯ রানে আউট হন তিনি।
ওয়ার্নার যখন ফেরেন তখন অস্ট্রেলিয়া চাই ৭৭ বলে ৬৭ রান। হাল ছাড়েননি প্যাট কামিন্স। ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। কিন্তু তিনিও বিদায় নেন ৪৯তম ওভারে। এরপর কুনেমান লড়াই করলেও আর পেরে উঠেননি।