
ঢাকার বংশালের কসাইটুলিতে ভূমিকম্পে পাঁচতলা ভবনের রেলিং ধসে তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন— সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের (মিটফোর্ড) ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম, হাজী আব্দুর রহিম (৪৭) ও মেহরাব হোসেন রিমন (১২)।
নিহত রাফির মা নুসরাতের সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে। তিনি জানেন না , তার ছেলে আর কোনোদিন চোখ মেলে পৃথিবীর আলো দেখবে না।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তিনজনের মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভূমিকম্পের পর বংশালের কসাইটুলিতে পাঁচতলা ভবনের রেলিং ধসে তিনজন মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, ভূমিকম্পের সময় হঠাৎ করে পাঁচতলা ভবনের রেলিং ধসে তিন পথচারী ঘটনাস্থলে নিহত হন। তারা সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিষ জানান, ভূমিকম্পের সময় ভবনের রেলিং ধসে তিন পথচারী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্র ছিল ৫.৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির জাগো নিউজকে বলেন, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭। এটির উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে। এটি মাঝারি ধরনের।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
আমার বার্তা/এল/এমই

