নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া, আমিরাবাদ, বক্তারকান্দি, কাইতাখালী, নোয়াদ্দা, নবীগঞ্জ, পাতাকাটা, দাসেরগাঁ ও লক্ষণখোলা এলাকায় বিরাজ করছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
বন্দরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষণখোলা পাম্পটি এক সপ্তাহ ধরে এবং চৌরাপাড়ার পাম্পটি দেড় বছর ধরে বিকল থাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ সময়েও পাম্প দুটি সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
আসন্ন রমজানের আগেই পাম্প সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। অন্যথায় পানির দাবিতে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন করার হুমকি দেন তারা। সম্প্রতি পানি সরবরাহের দাবিতে চৌরাপাড়া এলাকায় কলস নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় শতাধিক নারী-পুরুষ সড়ক অবরোধ করেন। এরপর পাম্পটি মেরামতের চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে এ পর্যন্ত পাম্পটি সচল করে তোলা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনেও পাম্পটি সচল করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এ অবস্থায় পাশের মসজিদ থেকে শুধু খাবার পানিটুকু সংগ্রহ করতে পারছেন তারা।
জানা গেছে, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাপাড়া পাম্পটি বিকল হয়। মেরামত না করায় তীব্র আকার ধারণ করে পানি সংকট। দেড় বছর ধরে এ পাম্পের লাইনে পানি পাচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। লক্ষণখোলা পাম্প থেকে লাইনে কিছু পানি এলে অল্প সংখ্যক মানুষ পানি সংগ্রহ করে থাকেন। সেই পাম্পটিও এক সপ্তাহ ধরে বিকল। ফলে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির সোহেল জানান, বিভিন্ন সময় হঠাৎ করেই কোনো না কোনো পাম্প বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে সারা বছরই পানি সংকট লেগে আছে। পানি সংকট নিরসনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ২০১৮ সালে ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩টিসহ বন্দরে ১৭টি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই পাম্পগুলো বর্তমানে বিকল হয়ে আছে।
এলাকাবাসী জানান, তিন বছর আগে পানি সরবরাহের দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উপর ন্যস্ত করে ওয়াসা। সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নেওয়ার পর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চৌরাপাড়া পাম্প হাউসের অপারেটর আলামিন জানান, দেড় বছর আগে পাম্পটি নষ্ট হয়। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানানো হয়েছে।
পানি সরবরাহ কাজের দায়িত্বে থাকা নাসিকের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লক্ষণখোলা পাম্পটি মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু চৌরাপাড়া পাম্পটি মেরামত করা যায়নি। এখানে নতুন পাম্প স্থাপন করতে হবে। নতুন পাম্প স্থাপন অত্যধিক ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
আমার বার্তা/জেএইচ