স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা, ফকরে বাঙাল মাওলানা তাজুল ইসলাম, উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টার আব্দুর রসুলসহ অনেক গুনি জনের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়।
বেশ কিছুদিন যাবত এই উপজেলায় মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের অপহরণ এমন ভাবে বেড়ে গেছে এ যেন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
রোববার একই দিনে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের চটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সদর ইউনিয়নের কুলিকুণ্ডা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। তাদের সবাইকে খালা পরিচয় দিয়ে শুরুতে বিদ্যালয় থেকে বের করে নেয় বোরকা পরা এক নারী। পরে চক্রের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। তবে চটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী একজনের হাত কামড়ে পালিয়ে গিয়ে লোকজনকে জানায়। পরে এলাকাবাসী অন্যদের উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারীদের কাউকে আটক করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত কিছু দিন যাবত একই কায়দায় ১০-১২ শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়া হয়। তাদের অনেককে মারধর করে গায়ে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে আসা কমিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ঘটনার শিকার অনেক শিশু বোরকা পরা কাউকে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। এহেন অবস্থায় এলাকাবাসী ও অভিভাবক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে স্কুলে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের অভিমত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন যদি ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে স্কুলে পাঠানো সম্ভব না।
তথ্যমতে এযাবৎ অনেক গুলো ঘটনার সংবাদ এলেও উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। এ কারণে জনমনে আতঙ্ক ও ভয় বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা অপহরণ চক্রের তৎপরতা বিষয়গুলো এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান মিলবে কেউ বুঝতে পারছেন না।