কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার মাধবপুর এলাকার পুরাতন ডাক বাংলো সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ফজরের নামাজ পড়তে রেললাইন ধরে হাঁটতে গেলে ছিন্নবিচ্ছিন্ন ৩ যুবকের মরদেহ দেখতে পান তারা। পরবর্তীতে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। বেলা পৌনে ১১টায় ময়নাতদন্তরে জন্য মরদেহগুলো কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল মোল্লা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রামগামী রেলপথের ডাউন লাইনের ১৬২/০১ এর মাদবপুর এলাকায় এই তিন যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রেল রাস্তার পশ্চিম লাইনে ৩টি মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে পড়ে আছে। একজনের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে পড়ে আছে, আরেকজনের কোমরের নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয় একজনের ভিডিওতে দেখা যায়, পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবক ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জীবিত ছিলেন, তিনি পানি পান করতে পেয়েছিলেন। তবে পরিচয় বলার আগেই মারা যান। মারা যাওয়া ৩ যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
সোহেল নামে এক যুবক জানান, লোক মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তিনি ২ যুবককে জীবিত দেখতে পান। তাদের পা ও হাত কাটা ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। এসময় আহত দুই যুবক বাঁচানোর জন্য আকুতি করছিলেন ও পানি চাচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই একে একে দুই যুবক মারা যান।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলের ঠিক ৫০ গজ দূরে রেল লাইনের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। এই ঘরটিতে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করত বখাটেরা। নিহত এই যুবকদের এই এলাকায় কখনো দেখা যায়নি।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, ভোরে খবর পেয়ে তিনি সর্বপ্রথম ঘটনাস্থলে আসেন এবং রেললাইনের ওপর খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহগুলো দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেন। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
আমার বার্তা/এল/এমই