চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কৃষকের রোপনকৃত ধান ক্ষেতে ঘাস নিধনের কীটনাশক প্রয়োগ করে ধান গাছ নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ইউএনও বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগে উপজেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক শেখ সাদী উল্লেখ করেন, আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি দীর্ঘদিন ধরে খাজনা দিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। প্রতিপক্ষ পাশের গ্রাম বুইচিতলার খোদা বক্সের ছেলে আব্দুল হামিদ ও মো. আরশাদ আলী, বদো মৌলভীর ছেলে মো. আরশাফ আলী, মৃত আজির বক্সের ছেলে মো. শুকুর আলী এবং বড়বলদিয়ার আজিজুল হকের ছেলে মো. আলীবুদ্দিন যোগসাজশে জোরপূর্বক আমার জমি বেদখল করতে গত ৪ মার্চ বিকেলে দুইমাস বয়সী ধানগাছ ঘাসমারা বিষ প্রয়োগ করে পুঁড়িয়ে দেয়। এতে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি অভিযোগে আরো জানান, আমরা লোকমুখে বিষপ্রয়োগের বিষয়টি জানতে পেরে গত ৫ মার্চ হামিদসহ অনিষ্টকারীদের এমন অন্যায় কাজের কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা বিষয়টি অনেকের সামনে স্বীকার করে এবং জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে আমি ও আমার পরিবারকে খুন করার হুমকি প্রদর্শন করে।
হুমকির প্রত্যক্ষদর্শী হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মজিবার রহমান এবং আরাফাত আলী জানান, আমাদের সামনেই হামিদ ও তার সাথে থাকা ব্যক্তিরা শেখ সাদী ও তার পরিবারকে জমিতে গেলে খুন করার হুমকি দিয়েছে। সেই সাথে পুলিশ ও প্রশাসন তার কিছু করতে পারবেনা সেই চ্যলেঞ্জ দেয়।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে হামিদ এবং আশরাফ এলাকার মামলাবাজ নামে পরিচিত। হামিদ শেখ সাদীর পরিবারের উপর ৫-৬ বার থানায় অভিযোগ করেছে। সেই সাথে কোর্টে মামলা করেছে ৪ বার। প্রতিবার পরিবারটি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। আর আশরাফ নিজ গ্রাম বুইচিতলার প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
দর্শনা থানাসূত্রে জানা গেছে, এ যাবৎ বহুবার হামিদ নামের ঐ ব্যক্তির অভিযোগ থানায় দাখিল হয়েছে। বাদি-বিবাদি আলোচনায় বসার সময় অদৃশ্য কারণে হামিদ আলোচনায় উপস্থিত হয় না।
এবিষয়ে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, গ্রাম আদালতেও জমির বিষয়টি নিয়ে বসা হয়েছে। শেখ সাদী সকলের সামনে জমির দলিল এবং রেকর্ড দেখাতে পারলেও হামিদ জমির কোন দলিল দেখাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রাম আদালত থেকে হামিদকে জমিতে যেয়ে সমস্যা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমার নামেই ইউএনও মহাদয়ের নিকট অভিযোগ দায়ের করে।
এবি/ জিয়া