
সাতক্ষীরা শ্যামনগর জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধে ও এখনই ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর এবং নবায়ন শক্তির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব মোড়লদের আহ্বান জানিয়েছে উপকূলের শরুব ইয়ুথ টিম।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলায় উপকূলীয় কাশিমাড়ি ইউনিয়নের পাদদেশে অবস্থিত গুচ্ছ গ্রামে শতাধিক তরুণের উপস্থিতিতে প্রতীকী ‘জলবায়ু ধর্মঘট’র আয়োজন করা হয়। বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সংগঠনটি এ আয়োজন করে। এ প্রতীকী ধর্মঘটে শত শত যুব একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন।
জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক ঊষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কল-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবাহন খাতে প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে, তার ফলে বৈশ্বিক ঊষ্ণতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও গ্লোবাল নর্থের সম্পদশালী উন্নত দেশ গুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে মূলতঃ যুদ্ধ সংগঠিত করা এবং যুদ্ধের জন্য মদদ দেওয়া, নব্য-ঔপনিবেশিক শোষণ ও মানাবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে। তারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নির্গমনকারী। তাদের পূঁজিবাদী মনোভাবের জন্য তারা পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার জন্য কোনো কারিগরি জ্ঞানের দরকার নাই। শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সেটা বাস্তবায়নই যথেষ্ট।
এ শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটে যুবরা কপ ৩০ কে ঘিরে ‘আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রয় করো না’ ‘জলবায়ু সুবিচার চাই’, ‘জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ কর’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর’সহ শত শত স্লোগান নিয়ে যুবরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছে তাদের দাবি জানায়।
জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজক শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নতুল নাঈম বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব তাদের দৈনন্দিন আচরণের মাধ্যমে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের আচরণের পরিবর্তন করতে হবে। আমরা চাই, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের ক্ষতিপূরণ দেবে এবং তারা জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করবে।
শরুবের ভলেনটিয়ার আবিদ হোসেন আপন বলেন, ‘একমাত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ, কার্বন ও গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে এই ধরাকে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিপর্যয়কে রুখে দিতে পারে।’
জলবায়ু যোদ্ধা রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুধুমাত্র পশ্চিমা বিশ্বই না আমাদের দেশের সরকারকেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
প্রতীকী জলবায়ু ধর্মঘটে উপস্থিত ছিলেন উপকূলকন্যা জেবা তাসনিয়া, অর্পিতা মন্ডল, হালিমা খাতুন, উম্মে সালমা, রাজীব বৈদ্য, আব্দুস সালাম ও শামীম হোসেন প্রমুখ।
আমার বার্তা/এল/এমই

