
পাবনার ঈশ্বরদীতে টানা পাঁচদিনের হাড়কাঁপানো শীত ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসে এখনও অনুভূত হচ্ছে শীত।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে সূর্যের দেখা পেয়েছে ঈশ্বরদীবাসী। এদিকে আজ (বুধবার) ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিমাপ করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, টানা পাঁচদিন ধরে ঈশ্বরদীতে বয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় তীব্র শীতে নাকাল ছিল জনজীবন। ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ১১ ও ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করেছে। বেলা ১১টার দিকে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। দুপুর ২টার পর থেকে ঝলমলে রোদে প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে প্রাণ, স্বস্তি পেয়েছে পৌরবাসী। তবে শিগগির আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
এদিকে পৌর শহরের স্টেশন এলাকা, বাজার ও রেলগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের ঝলমলে রোদে শীত নিবারনে জন্য মানুষ রোদে দাঁড়িয়ে বা বসে আছেন। দোকানপাট থেকেও মানুষজন বাহিরে সড়কের পাশে একটু রোদের উষ্ণতা নিয়ে চা পান করছেন।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে সারি ধরে রোদ তাপাচ্ছিলেন ছিন্নমূল শিশু কিশোর ও বৃদ্ধরা। এসময় সাইফুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধ জানান, কদিন ধরে রোদ নাই, শীতের কাপড় নাই। স্টেশনের বারান্দায় শুয়ে থাকা খুবই কষ্টকর। অবশেষে দুপুরবেলা রোদ দেখে এসে বসেছি। খুব আরাম পাচ্ছি, মনে হচ্ছে সবচাইতে সুখ বেশি এখন।
পৌর শহরের রেলগট এলাকায় সবুজ শাকের ঢাকি নিয়ে রোদে বসে হাঁকডাক দিয়ে শাক বিক্রির সময় হাসতে হাসতে মো. মিজান মোল্লা বলেন, বেলা ১১টার দিকে ক্ষেত থেকে শাক তুলে বিক্রি করতে আসছি। তীব্র শীতে বেচাকেনা নেই, দুপুরে একটু রোদ দেখে রোদে বসে এখন শাকগুগুলো বিক্রি করে চলে যাবো।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, টানা পাঁচদিন পর অবশেষে সূর্যের দেখা মিলেছে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ভেদ করে দুপুর ২টার পর ঝলমলে রোদ দেখা গেছে। তবে কিছুদিন এমন রোদসহ শীতের পরিমাণ একটু কম থাকবে। আবার নতুন করে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
আমার বার্তা/এল/এমই

