ঝালকাঠি সদর উপজেলার কল্যাণকাঠি এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলার স্বীকার হয়ে আদালতে মামলা করে আসামীদের হুমকিতে প্রাণ নাশের আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী মুক্তিযোদ্ধা পুত্র মো. মনিরুজ্জামান।
পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির পালিয়ে বেড়ানোয় মানবেতর জীবন যাপন করছে বাদীর পরিবারের লোকজন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, সদর উপজেলার সুগন্ধিয়ার আলোকদিয়া এলাকার নজরুল ইসলাম ফরিদ ব্যাংকের চেক জমা রেখে ২ লাখ টাকা ঋণ নেয় মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে। পরিশোধের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও টাকা না দেয়ায় বারবার চাইলেও দেনাদার ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে উপায় না পেয়ে পাওনাদার মনিরুজ্জামান ঋণগ্রস্ত ফরিদকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুমচিত জবাব না দেয়ায় বরিশালের মেট্রোপলিটন আদালতে অর্থঋণ আইনে পৃথক দুটি মামলা (নং- ৬১৪/২০, সেশন ৫১৯/২১ এবং ৬২০/২০২০ সেশন ৫২২/২১) দায়ের করেন। মামলা দেয়ার পর থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর ও খুন জখমের হুমকি অব্যাহত রাখে প্রতিপক্ষ ফরিদ ও তার সহযোগিরা। পথে ঘাটে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে। জীবনের নিরাপত্তার জন্য ঝালকাঠি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও মামলা (নং-১৫৫/২২) নজরুল ইসলাম ফরিদ, তার ভাই মোস্তাক আহমেদ, হাবিবুর রহমান, সহযোগী রায়হান ইসলাম রনি, শাওন মোল্লা, মো. ফারুক হোসেনসহ আরো অজ্ঞাত ৩/৪জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এতে অতি ক্ষুব্দ হয়ে গত ১৪ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুগন্ধিয়া স্কুলের সামনে রাস্তায় ফেলে বেধরক মারধার করে। এসময় তার সাথে থাকা নগদ প্রায় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে প্রতিপক্ষরা।
আহতাবস্থায় স্থানীয় এবং নিকটাত্মীয়রা উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-২৪৪/২৩) দায়ের করেন। কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলে আবারো খুন জখমের হুমকি অব্যাহত রাখে। এতে সে প্রাণ নাশের আশঙ্কায় পরিবার পরিজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও ভীতি প্রকাশ করেন মনিরুজ্জামান।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এবি/টিএ