সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধর্ষণ ও পুড়িয়া হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা এবং ৬ জনকে খালাস প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
১০ জুলাই সোমবার সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম জি আজম এই আদেশ প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির পুত্র নুরুল আমিন (২২)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া বয়রা গ্রামের গোলাম রসুলের নাবালক কন্যা মোছাঃ খাদিজা খাতুন রিমাকে আসামি নুরুল আমিন ৭ জুলাই ২০১২ ভিকটিমের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পরে এক পর্যায় ভিকটিম সন্তান সম্ভাব্য হয়ে পড়ে। পরে ১০ আগস্ট ২০১২ তারিখে বেলা সাড়ে তিনটার পরে কোন এক সময় ভিকটিমকে পুড়িয়া হত্যা করে হিজলদী শিশু তলা বিজিবি চেকপোষ্টের পাশে বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় রেখে যায়। রাতেই ভিকটিমের বাবা কলারোয়া থানায় নুরুল আমিন সহ আরও ৬ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে আসামি নুরুল আমিনসহ বাকিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ । মামলার সাক্ষীর জবানবন্দী পুলিশ রিপোর্ট পর্যালোচনা শেষে আজকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম জি আজম প্রধান আসামি নুরুল আমিন কে যাবজ্জীবন সাজা আরও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আর ও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
রায় প্রধানকালে আসামি নুরুল আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। খালাস প্রাপ্তরা হলেন আব্দুল জলিল,খলিল, রুহুল আমিন,খাইরুল, রিপন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এড জহুরুল হায়দার বাবু ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড মেহেদী হাসান।
এবি/টিএ