চামড়া সংগ্রহে ঋণ দিতে এবারেও ব্যাংকগুলোর অনীহা। এখন পর্যন্ত ১২৫ কোটি টাকা ঋণ মিলেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে ২৩২ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবছরের মতো এবারও ২ শতাংশ রেয়াতি সুবিধায় চামড়া খাতে ঋণ দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে চলতি মৌসুমে ঋণ দিয়ে মাত্র ৯টি ব্যাংক। এবার চামড়া ব্যবসায়ীদের কোনো ঋণ দেয় নি বাকি ৫২টি ব্যাংক।
বাড়তি পুঁজির জোগান দিতে এবার ট্যানারি মালিকদের যেখানে কয়েকশ কোটি টাকা ঋণের দাবি, সেখানে পেয়েছেন মাত্র ১২৫ কোটি টাকা। এতে চামড়া সংগ্রহে পুঁজির সংকট তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা ট্যানারি মালিকদের।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা এবার ব্যাংক থেকে লোন পায়নি। প্রণোদনার টাকাও পায় নি। ফলে চামড়া সংগ্রহে এবার বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কোরবানির ঈদে চামড়া সংগ্রহের ঋণের জন্য ৬-৭টি ব্যাংক ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালেই যথেষ্ট। অসাধুরা ব্যবসায়ীরা যেন অর্থ লগ্নি করে চামড়ার বাজার নষ্ট করতে না পারে- সে জন্য এবারের কোরবানির ঈদে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকগুলোর ২৩২ কোটি টাকার ঋণ দেয়ার কথা। যা গত বছরের তুলনায় ৩৮ কোটি টাকা কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসাইন খান বলেন, চামড়া কেনার জন্য যে পরিমাণ অর্থের দরকার, তা ৬-৭টি ব্যাংকের পক্ষেই মেটানো সম্ভব। বেশি ব্যাংকের প্রয়োজন নেই।
ঈদুল আজহায় সারা বছরের চাহিদা বেশির ভাগ চামড়া সংগ্রহ হয়ে থাকে। তবে যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে ৩০ ভাগ চামড়া নষ্ট হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
আমার বার্তা/এল/এমই