ব্যাংকখাত সংস্কারের অংশ হিসেবে দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত শুনানিতে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকও একীভূত হওয়ার সম্মতি জানিয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর ড. কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মোহাম্মদ নূরুল আমিন জানান, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান ঋণ স্থিতি প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে এস আলম গ্রুপ, যা সবই বর্তমানে খেলাপি। এসব ঋণের বিপরীতে জামানত রয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশের কম।
এর আগে ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হতে রাজি হয়েছে। এ দুই ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক এখনই একীভূত হতে রাজি হয়নি। ব্যাংকটির পর্ষদ অন্তত দুই বছর সময় চেয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এ ব্যাংক থেকেও বিপুল অর্থ লুট হয়েছে, যার সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নাম জড়িত।
সপ্তাহব্যাপী এ শুনানিতে এরই মধ্যে ইউনিয়ন, ফার্স্ট সিকিউরিটি, এক্সিম ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক অংশ নিয়েছে। শেষ ধাপে অংশ নেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। শুনানিতে প্রতিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তাদের আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের সম্মিলিত মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ মিলিয়ে পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের অনুমোদন পেলে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এ তহবিলে অর্থায়ন করবে।
একীভূত হওয়ার পর নতুন ব্যাংকের নাম হতে পারে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ অথবা ‘আল ফাতাহ ব্যাংক’।
আমার বার্তা/এল/এমই