ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন মানে রাজনীতির নতুন সমীকরণ নয় শুধু, নতুন মেরুকরণ ও নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলাযায়। তাই দেশব্যাপী রাজনৈতিক-সচেতন মহলের কাছে এ নির্বাচন নিয়ে একধরনের কৌতুহল, এবং একটি ভিন্ন আমেজ পরিলক্ষিত হয়। সঙ্গে চুলছেঁড়া হাজারো বিশ্লেষণ ও হিসাব-নিকাশ চলছে। এ কৌতূহলদীপ্ত নির্বাচন সরজমিনে দেখতে ছুটে যাওয়া। তবে এ যাওয়ার প্রস্তুতিক্ষণে পেতে হয় খানিকটা বেগ। সর্বশেষ গত শনিবার ৩০/৮/২০২৫ইং, ঢাকা যাওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বিধির কি বাম সেদিন ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা। আমার ছোট চাচি অর্থাৎ চাচা মরহুম ধন মিয়ার সহধর্মিণী দুপুর ২টা ইন্তেকাল করেন ( ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্নাহি রাজিউন)। চাচার কোন পুত্র-সন্তান ছিল না। সন্তানদের মধ্যে ৫ মেয়ে। ছেলে বুঝাতে আমরা তাঁর বড় ও মেজ ভাইয়ের ছেলেরা। এ খবরটি জানার সাথে সাথে রীতিমতো থমকে যায়; অবশ্য চাচি বয়সে পৌঢ়, পাঁচাশি-নব্বই বছর ছুঁইছুঁই অবস্থা। এরমধ্যে ৬-৭ মাস পূর্ব থেকে একেবারে ঘরে বসা ছিলেন। সঙ্গে বার্ধক্যজনিত রোগবালাইও পেয়ে বসে। চাচির দুই ছোট মেয়ে ও দুই নাতনি সেবাশুশ্রূষতার কমতি রাখেনি। অবশ্য তারও এক বছর আগে থেকে অপ্রকৃতস্থ হয়ে উঠেন। কিন্তু আমার সাথে ওই সময়েও একটা ভালো বুঝাপড়া ছিল। কখনো আমাকে সকালে ঘুম থেকে জেগে তুলা ছিল তাঁর কাজ। আর আমার কাছে সকাল বলতে সাড়ে দশটা-এগারোটা। তখন ঘরে কিছু খানাপানি থাকলে ভাগাভাগি করে খাওয়া। তবে তেমন একটা খেতে চাইতেন না, আবার খেতেও পারতেন না বয়সের কারণে। যখন পুরোদস্তুর সুস্থ ছিল তখন ভাব জমেছিল আমরা মেয়ে জেন প্রাঞ্জলা জয়ার সাথে। মেয়েও বড় গলায় দাদু ডেকে ছুটে যেত। তিনিও প্রত্যুত্তরে দাদু বলে "হা-হা" হেসে জড়িয়ে ধরতেন। অতঃপর খাওয়া-দাওয়া। আমরা মেয়ে আমার মা ও বাবাকে জীবিত দেখতে পায়নি। ২০০৭ সালে আমার মা আরবা খাতুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বাবা কবিয়াল সেকান্দর মিয়া ১৯৯৯ সালে পরকালে পাড়ি জমান। চাচি ছিল জীবিত বাবা-মা'দের মধ্যে পোড়দের শেষজন। এর-ও ৭-৮ মাস আগে, ২০২৫ সালের প্রথম দিকে মরহুম মেজ চাচা হারেছ মিয়ার স্ত্রী মৃত্যু বরণ করেন।
আমার মেয়ে তার ছোট দাদুর মৃত্যুতে আসতে পারেনি। সে তার মাকে নিয়ে বাসায় থাকে। আমিও তাদের আসা-যাওয়ার ঝামেলা মনে করে আর জানায়নি। পরে মোবাইলে সংবাদটি জানালে তারা অনেকটা স্তব্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ মোবাইলে " হাঁ-না" উত্তরও ছিল না। অবশ্য তাতে বুঝতে পারলাম তারা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। এভাবে আমাদের জীবনে হাজারো ঘটনা-রটনা। তবে একটা কথা না বললে নয়— চাচি পুরোটাই বকলম ছিলেন, লেখতে পড়তে পারতেন না। কিন্তু তিনি আমার নাম শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে মায়াবী সুরে ডাকতেন; আমি তাতে বরাবরই বিস্মকর। তিনি ডাকতেন সাটিফিকেট নামে— "জামশেদ-জামশেদ ", আর পাড়া-প্রতিবেশিরা ডাকতেন আমাকে "জংসু" বলে। এ ছিল আমার কাছে এক তৃপ্তি পাওয়া। চাচি আমাদের মাঝে বেঁচে নেই, একথা তা ভাবতেও অকল্পনীয় মনে হয়। যেমনটা আমাদের মাঝে চলছে বিয়োগান্তের খরা, রাজনীতির আকাশেও চলছে দূর্যোগের ঘনঘটা—কখন আবার হুট করে কি ঘটে যায়, তারও নিশ্চয়তা নেই। এমনিতে প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও একটা অপ্রত্যাশীত ঘটনা ঘটে চলেছে।
২৯/৮/২০২৫ইং শুক্রবার গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্ববৃন্দর সাথে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনা নিবৃত করতে গিয়ে সংঘর্ষ অনেকটা ত্রিমুখী রূপ নেয়। আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরুসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় এবং জোরালো ভাবে ওঠে আসে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবীও। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনাটিও ভাবিয়ে তোলে। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো লঙ্কার কাণ্ড ঘটে যায়। ৩১/৮/২০২৫ইং রোববার রাতে এক ছাত্রী রাত করে লোকালয়ের আবাসিক বাসায় ফেরাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে ঘটনাটি গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দেড় হাজারোও বেশি ছাত্র আহত হয়। গ্রামবাসীরও ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। অবশ্য ঘটনার লাগাম টানতে সক্ষম হলেও-এর রেশ দীর্ঘ বছর ধরে থেকে যাবে। তবে এ ঘটনা উভয় পক্ষের কাছে ভবিষ্যতে জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে— আর যেনতেন ভাবে কেউ কাউকে হেলায় ফেলায় করার সুযোগ থাকবে না।
এবার ডাকসু নির্বাচনের টুকিটাকি যা দেখা : ২/৯/২০২৫ইং, প্রথমে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। ওইদিন টিএসসিতে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম সোসাইটির প্রদর্শনী। টিকেটও বিক্রয় চলছে। এ উপলক্ষে টিএসসির মাঠে সাদা-কমলা কালারের পর্দা ওড়ানো হয়। হুগলি পাতার প্লেকার্ডেও দিকনির্দেশনামুলুক যতসব লেখা সাঁটানো হয়, যা এক নজরে আকৃষ্ট করে। সঙ্গে ক্ষিণস্বরে বাজানো হচ্ছে লোকগীতি ও বাউল গান। আমরাও থেমে নেই, চিরাচরিত পেটের ক্ষুধা নিয়ে টিএসসি'র ক্যান্টিনের দিকে ছুটলাম। সঙ্গে আছেন গীতিকার ও বিনোদন সাংবাদিক আশিক বন্ধু। ইতোমধ্যে তিনি সঙ্গীত জগতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। এরমধ্যে একাধিক টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটকে টাইটেল গান লিখে জনপ্রিয়তার-এ খ্যাতি কুড়িয়েছেন। দীর্ঘ বছর ধরে বিনোদন সাংবাদিকতা পেশায়ও জড়িত আছেন। তবে আমরা মগ্ন ছিলাম টিএসসির ক্যান্টিনে তেহেরী খাওয়াতে। তেহেরী বলতে হলুদ মাখা ও তেলে ভাজা ভাত। সঙ্গে ছোট্ট এক টুকরো ফার্মের মুরগী ভাজা। ওহ্, জোল দিয়ে রান্না করা একটি ডিমও এনে দিলেন আধবয়েসী বয় খোকন। আমরা আরো এক প্লেট অতিরিক্ত ভাত নিই। কিন্তু তেহেরীর পরিমাণ এতই কম ছিল-যে আমাদের দুজনের পেটের কোণাও ভরেনি। তবে ছাত্র-ছাত্রী'দের জন্য তা ছিল যথেষ্ট খাবার। মাত্র ৩৫ টাকা দিয়ে তা খেয়ে তারা শরীর ও মন চাঙা রাখতে পারে।
যাক সেসব কথা— আমাদের বিল এসে গেল ১০০টাকা। ক্যান্ট্রিনবয় হাসি মুখে বিলের কথা বললে তাকে ২০টাকা বকসিসসহ দেওয়া হয়। তখন ভর দুপুর। আর যে-জন্য আমাদের আসা হয়—চারিদিকে চলছে ডাকসুর নির্বাচনের ডামাডোল ও আমেজ। তাহমিনা আক্তার নামের এক তরুণী হাসি মুখে একটি লিফলেট দিয়ে নিজের পরিচয় জানালেন। তিনি বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের ভিপি পদপ্রার্থী। এ নারী প্রার্থীর অগ্রভাগে একঝাঁক সোসালমিডিয়ার কনটেন্ট নির্মাতারাও ছুটে চলছে। ডাকসু নির্বাচনে এ ধরণের প্রচার-প্রচারণা অভিনব এবং আকৃষ্ট করে। আমাদের টেবিলের নিচেও পড়ে ছিল অনুরূপ একটি প্রচারপত্র। আমরা সেটি কুড়িয়ে নিয়ে দেখি— সদস্য পদপ্রার্থী রিফতি-আল-জাবেদ এর প্রচারপত্র-লিফলেট। তিনি জুলাই বিপ্লবের নেত্রী। টিএসসির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, দল বেঁধে ছেলে-মেয়ে ফ্লোরে বসে একসাথে আড্ডায় মশগুল থাকা। আরো কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী গোল হয়ে বসে নাতে রাসুল সুরে সুরে গাইছিল। আমরা আড়াআড়ি পথে টিএসসি থেকে মধুর ক্যান্ট্রিনের দিকে যাচ্ছিলাম। মধুদার ক্যান্টিন মানেই অন্য এক আবহ এবং অন্য পরিবেশ। সামনে এক ভদ্রলোককে কিছু দূর্লভ গ্রন্থ বিক্রি করতে দেখা গেল। সেখানে খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফার লেখা বেশ কয়েকটি গ্রন্থও রয়েছে। সর্বশেষ নিলাম রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন এর "ভোলগা থেকে গঙ্গা" গ্রন্থটি। এটি খুব কম মূল্যে কেনা হয়- মাত্র ১৪০ টাকা দিয়ে। গ্রন্থের গায়ে দাম ছিল ৪৫০টাকা। তবে এটি বহু পড়িত ও প্রকাশিত গ্রন্থের একটি। বিক্রেতা সায়েদ আহমেদ খানের গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলা জগৎনাথপুর উপজেলা বলে জানালো। একইস্থলে একটু পর নির্বাচন নিয়ে এক পদপ্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। তাঁকে দেড় শতাধিক মিডিয়া সাংবাদিক ঘিরে ধরে। মনে হচ্ছিল সকাল থেকে আরো কয়েক দফা সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে সেখানে। সাংবাদিকরাও ওইস্থলে অপেক্ষায় থাকেন—কখন কোন প্রার্থী তেড়ে এসে আবার কি বলেন। তবে বিশ্ববিদ্যায় প্রাঙ্গনসহ সংশ্লিষ্ট-সব জায়গায় টান-টান অবস্থা। তবে কখনো আগবাড়িয়ে মুখ ফসলে যেনতেন কথা বলা যাবে না; এতে কিন্তু মহা ঝামেলা বা বিপদও হতে পারে! তাই সবাই কেমন জানিকটা চুপচুপ।
তবে আমরাও থেমে নেই; পুরো ক্যাম্পাসের পথে পথে ছিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে আছে প্রার্থীদের লিফলেট। তার মধ্যে কিছু কুড়িয়ে নিই। একদল ছাত্রী হাতে নিয়ে বসে আছে হলের সম্মুখে ভিপি পদপ্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম ও এজিএস পদপ্রার্থীর তাবভীর আল হাদী মায়েমসহ তাদের প্যানেলের ২৪ প্রার্থীর প্রচারপত্র। একজন ছাত্রী থেকে এটি চেয়ে নিলাম। মেয়েটিও উৎফুল্ল মনে আগ বাড়িয়ে দিলেন। রোকেয়া হলের সামনে জিএস পদপ্রার্থী মো. আবু বাকের মজুমদার নিজের লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তাকে খুবই হাস্যোদ্দীপক দেখা গেল। তার প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের। ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম, জিএস এসএম ফরহাদ। দল নিরেপক্ষ স্বতন্ত্র প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন খালিদ, জিএস পদপ্রার্থী মো. আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার ও এজিএস পদপ্রার্থী ফাতেমা শারমিন এ্যানিরও। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতিমারও একটি লিফলেট পেলাম। উমামা ফাতেমা ইতিমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। সে নানাভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সে আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিল। ডাকসু নির্বাচনে তার সাহসী ভূমিকা প্রশংসনীয়। ধারণা করা হচ্ছে তার ভিপি পদে নিরবচ্ছিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেকটা ঝড়ের গতিতে এগিতে যাওয়া। এ দিকে আদালতে রিট করেন বি এম ফাহমিদা আলম। তিনি ডাকসু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। আর জন্য তাকে সম্ভ্রম হানীর হুমকিও দেওয়া হয়! এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ দেখা দেয়। একবাক্যে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। এরপরও কথা ওঠেছে, অপর চার ভিপি পদপ্রার্থী নিয়ে। তাঁরা সকলে নাকি মাদ্রাসার ছাত্র। সঙ্গত কারণে পঞ্চমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে ভিপি পদে। ভিপি উমামা ফাতেমা প্যানেলে জিএস পদপ্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়া, এজিএস পদপ্রার্থী জাহেদ আহমদ। অপর এক ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জিএস পদপ্রার্থীকে দেখা পাওয়া। ক্যারিয়া উন্নয়ন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন লিটন ত্রিপুরা। মধুদার ক্যান্টেনিয়ে দেখা হয় আরিফুল ইসলাম আবিব এর। তিনি জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী-সাহিত্য সম্পাদক পদপ্রার্থী। মো. তোফাজ্জল হক আকাশ আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন। মেহেদী হাসানও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন। কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্রার্থী নূমান আহমাদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী পদপ্রার্থীদের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। এ স্বল্প সময়ে সবার দেখা-সাক্ষাৎ রীতিমতো দুঃসাধ্য ব্যাপার- স্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সবশেষ ডাকসুর নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম করা রিট ৩ আগষ্ট খারিজ করে দেয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং, ডাকসুর বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
লেখক : কবি, গবেষক ও কলামিস্ট।
আমার বার্তা/মিঞা জামশেদ উদ্দীন/এমই