শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে উপবৃত্তি দিয়ে আসছে সরকার। বিদ্যালয়ে ভর্তির পর ঝরে পড়া ঠেকাতে কয়েক দফা উপবৃত্তির টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে উপবৃত্তির আওতায় প্রায় ৮৬ লাখ শিক্ষার্থী। দেশের বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে উপবৃত্তির টাকা এবার দ্বিগুণ হচ্ছে। এককালীন পোশাক ভাতাসহ চালু হচ্ছে আরও সুবিধা।
অভিভাবক, বিশিষ্টজনদের দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপবৃত্তি দ্বিগুণ করার এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে ‘শতভাগ’ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি নিশ্চিতে কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরই মধ্যে অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলেই বাড়তি হারে উপবৃত্তির টাকা পাবে শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন হারে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রাথমিকের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমান হারে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
পরিবার থেকে দুজনের বেশি উপবৃত্তি না পাওয়ার নিয়মটা না রাখলে ভালো হবে। সেজন্য অধিদপ্তর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
অধিদপ্তরের উপবৃত্তি শাখার তথ্যমতে, বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিকের একজন শিক্ষার্থী মাসিক ৭৫ টাকা হারে উপবৃত্তির টাকা পায়। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ টাকা এবং যেসব স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে চালু রয়েছে, সেখানে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টমের শিক্ষার্থীরা ২০০ টাকা হারে মাসিক উপবৃত্তি পায়। বছরে দুবার (ছয়মাস পরপর) মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে এ উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই