ই-পেপার শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নতুন আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদে প্রবেশ করতে চলেছে বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫৩
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা : ছবি- এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে’ বেশকিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

এদিকে, শপথ নেওয়ার আগেই ট্রাম্প তার প্রতিবেশী দেশ কানাডাকেও যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি সপ্তাহ দুয়েক আগে কানাডাকে মার্কিন ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নতুন একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এদিকে, ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডকে পর্যন্ত কিনে নিতে চেয়েছেন তিনি। আবার মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে ‘আমেরিকান উপসাগর’ করারও প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।

এমন পরিস্থিতিতে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের যুগে প্রবেশ করতে চলছে বিশ্ব। বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিষেক ভাষণ যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক বিভাজন দূর করার বদলে পুরোনো ঐতিহ্যগুলোকে তুলে ধরেছে। তার ভাষণে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে যে, নিজের দেশের স্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সদ্য শপথ নেওয়া এই প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি নতুন ভূখণ্ড অধিগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন; এমনকি মঙ্গলগ্রহেও।

ইকোনমিস্টের মতে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, উইলিয়াম ম্যাককিনলে একজন ‘মহান প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ম্যাককিনলে ১৮৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ও পানামা খাল নির্মাণে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ট্রাম্প পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশেষভাবে আগ্রহী। তিনি মনে করেন, খালটির মালিকানা নিয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে ও এটি বর্তমানে চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্পের ভাষণে সবচেয়ে চমকপ্রদ মন্তব্য ছিল, আমরা পানামা খাল পুনরায় দখল করতে যাচ্ছি। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষায় কিছুই করা হচ্ছে না, অথচ বিদেশি সীমান্ত রক্ষায় অগণিত অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।

পানামা খালের চুক্তি ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সময় সম্পাদিত হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রক্ষণশীল নেতা ও সাধারণ নাগরিক এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে খালটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত আরও রক্ষণশীল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে, ট্রাম্প শুধু পানামা খালের পুনরুদ্ধারের কথাই বলেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের প্রসঙ্গও তুলেছেন। ২৫তম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলের আমলেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটে। হাওয়াই, কিউবা ও ফিলিপাইনের মতো অঞ্চলেও যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বাড়ে। এমনকি ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহেও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা স্থাপন করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। মঙ্গলে মার্কিন পতাকা স্থাপনকে তিনি তার দেশের ‘স্পষ্ট ভবিতব্য’ বলে উল্লেখ করেন।

তবে বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা ও ইউক্রেন যুদ্ধ। কিন্তু ট্রাম্প তার ভাষণে চীনের প্রসঙ্গ তুলেছেন কেবল পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে তিনি কেবল গাজায় জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির বিষয়ে কথা বলেন। আর তার অভিষেক ভাষণে ইউক্রেন প্রসঙ্গ একেবারেই উপেক্ষিত ছিল।

শুল্কের বিষয়েও ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ম্যাককিনলের সঙ্গে মিলে যায়। ম্যাককিনলে ১৮৯৭ সালে ডিংলে অ্যাক্ট স্বাক্ষর করেন, যা শুল্ক ৫০ শতাংশের ওপরে নিয়ে যায়। ট্রাম্পও একইভাবে শুল্ককে ব্যবহার করে বিদেশি অর্থ থেকে জাতীয় কোষাগার সমৃদ্ধ করার কথা বলেন।

ম্যাককিনলের মতোই ট্রাম্প বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছেন। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক ও মার্ক জাকারবার্গের মতো বিলিয়নিয়ারদের জন্য বিশেষ আসনের ব্যবস্থা ছিল। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি ‘স্বর্ণযুগে’ প্রবেশ করতে যাচ্ছে।। তবে তার কার্যক্রমের দিকে তাকালে মনে হয়, তিনি ‘গিল্ডেড যুগে’ ফিরে যেতে চান।

১৮৭০ দশকের শেষ থেকে ১৮৯০ দশকের শেষের সময়কালকে যুক্তরাষ্ট্রের গিল্ডেড যুগ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। যদিও অনেকের মতে এটি এমন একটি যুগ, যার কোনো নির্দিষ্ট শুরু বা শেষ নেই। ওই যুগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী পরিবারগুলো ব্যাপক হারে সম্পদ সঞ্চয় করেছিল। শিল্প বিপ্লব থেকে লাভ, রেলপথ নির্মাণ, নগরায়ণ, ওয়াল স্ট্রিট ও ব্যাংকিং শিল্পের উত্থান, গৃহযুদ্ধ ও পুনর্গঠন থেকে আর্থিক লাভ, ইস্পাত উৎপাদন ও নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারে সমৃদ্ধ হয়েছিল মার্কিন অর্থনীতি। -- সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

আমার বার্তা/এমই

এবার জাতিসংঘ বৈঠকে আফগানিস্তানকে সতর্কবার্তা দিলো পাকিস্তান

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের উদ্দেশে সম্ভাব্য যুদ্ধের সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘে

চোরাই তেলবাহী ট্যাঙ্কার জব্দ করল ইরান, আটক বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু

ওমান উপসাগরে বিপুল পরিমাণ চোরাই ডিজেলবাহী একটি ট্যাংকার জাহাজ জব্দ করেছে ইরানের কোস্টগার্ড বাহিনী। সেই

ট্রাম্পের ফোনের পরও সংঘাত চলছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে

সংঘাতের ৬ দিনে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ায় নিহত ২৩, বাস্তুচ্যুত ৭ লাখ

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সংঘাতের গত ৬ দিনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রতিবছর দেশের বাইরে চিকিৎসায় খরচ ৫ বিলিয়ন ডলার

নির্বাচন বানচালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে: আলতাফ চৌধুরী

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড দেশকে মেধাশূন্য করার গভীর চক্রান্ত: তারেক রহমান

শেয়ার বাজারে মূলধন বাড়লো আড়াই হাজার কোটি টাকা

হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে: ফখরুল

আমদানির পরও কমছে না পেঁয়াজের দাম

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ: বদিউল আলম

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা

এআই নিয়ে অঙ্গরাজ্যের ক্ষমতায় লাগাম টানলেন ট্রাম্প

হাদির ওপর হামলা, শান্তির পথে কাঁটা ছড়াচ্ছে কারা?

জাতীয় নির্বাচনের পরিপত্র জারি, প্রার্থীর জামানত ৫০ হাজার টাকা

হাদিকে গুলির প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

এবার জাতিসংঘ বৈঠকে আফগানিস্তানকে সতর্কবার্তা দিলো পাকিস্তান

গাজীপুরে মাকে মারধর করায় ছেলেকে মাটিতে পুঁতে রাখলেন এলাকাবাসী

পুরোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের চেষ্টা চলছে: ববি হাজ্জাজ

বাংলাদেশ যদি বেঁচে যায়, হাদিরা বেঁচে থাকবে: মামুনুল হক

উপকূল বাঁচাতে বনায়ন ও কৃষি সংরক্ষণই মূল চাবিকাঠি: রিজওয়ানা হাসান

হাদির ওপর হামলাকারীদের দেশত্যাগ ঠেকাতে সীমান্তে কড়া নজরদারি

বিশেষ একটি দলের মুখোশ উন্মোচন হোক: মির্জা আব্বাস

গণ-অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা