পাহালগামে জঙ্গী হামলার সন্দেহভাজন হামলাকারী তিন জনের একজন হাশিম মুসা হলেন প্রাক্তন পাক কমান্ডো: সূত্র নিরাপত্তা সংস্থার । সূত্র আরও জানিয়েছে যে হাশিম মুসা দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলে কোথাও লুকিয়ে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক অভিযান শুরু করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী তিন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি শনাক্ত করেছে, তাদের মধ্যে দুজন - লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সইদ এবং তার সহকারী সাইফুল্লাহ কাসুরি - পাকিস্তানে আছেন এবং তৃতীয়জন, হাশিম মুসা, জম্মু ও কাশ্মীরে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা সংস্থার সূত্র জানিয়েছে যে হাশিম মুসা দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলে কোথাও লুকিয়ে আছেন এবং তাকে খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক অভিযান শুরু করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির আশঙ্কা, সন্ত্রাসী পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ হাশিম মুসার সম্পর্কে যেকোনো তথ্যের জন্য ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে এবং আশ্বস্ত করেছে যে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
জানা গেছে, হাশিম মুসা পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপে প্যারা-কমান্ডো হিসেবে কাজ করেছেন। পরে তিনি লস্কর-ই-তৈয়বায় যোগ দেন এবং তখন থেকে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার অংশ ছিলেন। জানা গেছে যে তিনি ২০২৩ সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
গত বছরের অক্টোবরে, হাশিম মুসা জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলায় একটি সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিলেন, যেখানে সাতজন নিহত হন। তিনি বারামুল্লায় একটি হামলায় জড়িত ছিলেন, যেখানে চারজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, হাশিম মুসা উপত্যকায় কমপক্ষে ছয়টি সন্ত্রাসী হামলার অংশ ছিলেন।
পহেলগাম ট্র্যাজেডির তদন্তে দেখা গেছে যে নিরীহদের লক্ষ্য করে করা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মূল অপরাধীদের মধ্যে হাশিম মুসা ছিলেন। জড়িত অন্যদের আদিল থোকার এবং আসিফ শেখ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ তাদের প্রত্যেকের জন্য ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
পহেলগাম ট্র্যাজেডি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ককে তলানিতে ঠেলে দিয়েছে। নয়াদিল্লি সিন্ধু জল চুক্তি এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে। ইসলামাবাদ এর প্রতিক্রিয়ায় হুমকি দিয়েছে যে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখা বৈধতা প্রদানকারী সিমলা চুক্তি সহ সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করতে পারে।
আমার বার্তা/এমই
