ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর জন্য তৎপর হয়েছেন। গত কয়েক দিনে লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ক্যালিফর্নিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দফতরের কর্মকর্তারা হানা দেন। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়।
শুক্রবার থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অভিবাসন দফতর ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ধরপাকড়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং বিক্ষোভের ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউস।
এতে পরস্থিতির উন্নতি হওয়া দূরে থাক, আরও অবনতি ঘটেছে। ট্রাম্পের বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। চলছে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসও রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক সাংবাদিকও।
লস অ্যাঞ্জেলেসের আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। রোববার নিউ জার্সিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের প্রসঙ্গে বলেন, আমার ছোট একটি বক্তব্য রয়েছে। তা হলো, ওরা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা মেরেছে। আপনারা জানেন যে, এটা ওদের নতুন কায়দা। কেউ আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা, সেনার দিকে থুতু মারবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। যদি এটা হয়, তাহলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে।
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্পকেই দায়ী করলেন ক্যালিফর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গাভিন নিউসাম। রোববার তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দিয়েছেন। তার অভিযোগ, কোনোরকম আলোচনা ছাড়়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাম্পের জন্যই এ পরিস্থিতি বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তোপ দাগেন নিউসাম।
আমার বার্তা/এল/এমই