ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুতে তরুণদের জন্য উন্নত মজুরি ও পেনশনের দাবিতে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভে জনপ্রিয় এক র্যাপার নিহত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় জেন-জি'দের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করলেও পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জোসে জেরি।
আল জাজিরা প্রতিবেদনের তথ্য মতে, পেরু সরকার বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানী লিমায় জরুরি অবস্থা জারি করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রসিকিউটর কার্যালয় জানিয়েছে, বুধবারের (১৫ অক্টোবর) বিক্ষোভে নিহত ৩২ বছর বয়সী হিপহপ শিল্পী এদুয়ার্দো রুইজের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে।
পেরুর পুলিশ প্রধান জেনারেল অস্কার আরিওলা জানান, পুলিশ সদস্য লুইস মাগালানেস রুইজের বুকে গুলি চালিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে আটক ও বরখাস্ত করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা মাগালানেসকে মারধর করায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রুইজ হচ্ছেন চলমান এই বিক্ষোভে নিহত প্রথম ব্যক্তি, যা এক মাস আগে তরুণদের জন্য উন্নত মজুরি ও পেনশন দাবিতে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি দুর্নীতি ও নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নেয়। ফলে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের অভিসংশনের মুখে অপসারিত হন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) হাজার হাজার মানুষ পেরুর রাস্তায় নামে। রাজধানী লিমায় শত শত বিক্ষোভকারী কংগ্রেস ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং সদ্য নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জোসে জেরির পদত্যাগের দাবি জানায়।
জেরি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমার দায়িত্ব দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় জেরি রুইজের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই মৃত্যু নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। যারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিসেন্তে তিবুরসিও জানান, বুধবারের (১৫ অক্টোবর) বিক্ষোভে ৮৯ পুলিশ ও ২২ জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন এবং ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই