বরিশালে ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিচারপ্রার্থীদের জন্য গড়ে তোলা ন্যায়কুঞ্জে (আধুনিক বিশ্রামাগার) খাবারের হোটেল চালুর পর তা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহির উদ্দিন ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। উচ্ছেদ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিচারপ্রার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
এর আগে রোববার এই ন্যায়কুঞ্জে খাবার হোটেল চালু করা হয়। এক্ষেত্রে হোটেল ম্যানেজার ইদ্রিস সরদার দাবি করেন, আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দোকান দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, গত বছরের ৭ মার্চ বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর উদ্বোধনের মাধ্যমে চালু হয় ন্যায়কুঞ্জ। ৮০০ বর্গফুটের এই বিশ্রামাগারে ৪০ জন বিচারপ্রার্থীর বসার স্থান, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক বাথরুম, ব্রেস্টফিডিং জোন এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও একটি ছোট টি-স্টলের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু গত রোববার থেকে এটি একটি খাবার হোটেল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এ কারণে বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রামাগারটি ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযানে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিয়াজ হোসেন, বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিপি হাফিজ আহমেদ খান বাবলুসহ আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবী সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালের ১০টি উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে এই আদালতে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ন্যায়বিচারের আশায় এখানে আসেন।
আমার বার্তা/এল/এমই