মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেট করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সদস্যরা। অনিয়মকে প্রশ্রয় না দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (৫ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই স্মারকলিপি দিয়েছেন বায়রার সদস্যরা। পরে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে বায়রার সহ-সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেট করে হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা এখনও চলছে। এই সিন্ডিকেট রুখে দিতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন এনে পুনরায় শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট হোতাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে তাদের বিচার কার্যকর করতে হবে।
বক্তারা জানান, গত সরকারের সময় তৎকালীন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের প্রশ্রয়ে পলাতক রুহুল আমিন স্বপনের নেতৃত্বে ওই সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। বর্তমানে বিদেশে বসেই তারা ওই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
তারা জানান, এই সিন্ডিকেটে মূল হোতাদের মধ্যে রয়েছেন গত সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আমিন নুর, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল, সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারি, সাবেক এমপি লে. জেনারেল মাসুদ, সাবেক এমপি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিএস আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মহি ও বায়রার সাবেক ইসি সদস্য কাজী মফিজুর রহমান।
বিগত সিন্ডিকেটের দুর্নীতি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ৮ লাখ কর্মীর কাছ থেকে টিকিট ভিসাসহ অতিরিক্ত আদায় করেছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এ টাকার ভাগ তৎকালীন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের দেওয়া হয়েছে। ২৫ লাখ যাত্রীর কাছ থেকে মেডিকেল স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাবদ আদায় করেছে ৭৫০ কোটি টাকা। সিন্ডিকেটের লাইসেন্স পেতে এজেন্সি প্রতি দিতে হয়েছে ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা।
একই জায়গায় (প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে) বায়রার সদস্যদের আরেকটি অংশের মানববন্ধন থেকে মালয়েশিয়াসহ বন্ধ সব শ্রমবাজার চালুর জন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আমার বার্তা/এমই