দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সায়মা পারভীনকে পার্কে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা আলী ইমাম খান অনু খুনের দায় স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
সোমবার ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম জানান, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু (২৭) সদর থানায় এসে খুনের কথা জানান। সায়মা ও আলী ইমাম দুজনেরই বাড়ি শহরের ফকির বাড়ি এলাকায়।
থানায় আত্মসমর্পণের আগে আলী ইমাম নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এ ব্যাপারে একটি পোস্ট দেন।
পরে পুলিশ গাবখান ইকো পার্কের একটি গাছের নিচ থেকে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সায়মা পারভীনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে।
ফেইসবুক পোস্টে সায়মার বিরুদ্ধে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ আনেন আলী ইমাম। এর জেরেই সায়মাকে ডেকে নিয়েখুন করেন তিনি।
আত্মসমর্পণের পর আলী ইমাম খান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার দাবি, ৪ বছর আগে সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা গোপনে কাজী ডেকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কথা ২ পরিবারের কাছে গোপন রাখেন।
আলী ইমাম ছাত্রলীগ নেতা স্বীকার করে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মধু বলেন, এটা সত্য। তবে ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না।
নিহত সায়মার বাবা শাহাদাৎ তালুকদার বলেন, ৪ বছর ধরে আলী ইমাম তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলে। ৩ মাস আগে বাড়ির সামনেই সায়মাকে বিরক্ত করছিলো। তখন তাকে বিরক্ত করতে নিষেধ করি। তিনি ধারণ করেছেন, এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করতে পারে।
এএসপি মহিতুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছুরিকাঘাতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে সায়মার শরীরের ৩টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত শনাক্ত করা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখনও মামলা হয়নি,তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সায়মার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এবি/টিএ