ই-পেপার সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এনটিআরসিএ’র নিয়োগ বঞ্চিত ১-১২ তম ব্যাচের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত সামাধান চাই

তাসলিমা খাতুন সাওফা:
আলিমা আফরোজ লিমা:
৩১ মে ২০২৫, ১৯:৩৩
আপডেট  : ৩১ মে ২০২৫, ২২:০২

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে কাজ করার লক্ষ্যে গঠিত হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ। শিক্ষা ব্যবস্হায় প্রকৃত শিক্ষা এবং সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষার মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ। জাল সনদের অন্তরালে প্রকৃত সনদধারীরা যেন হারিয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করা। একমাত্র বৈধ সনদধারীদের যোগ্য সম্মান এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ব্যাবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষমুক্ত করা সম্ভব।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ না করা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়-এ বিষয়টি অনুধাবন করে ২০০৫ সালে এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ২০১৫ সালে এনটিআরসিএ-কে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের (এন্ট্রি লেভেল) শূন্য পদে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ৬৪ জেলায় বেসরকারি স্কুুল ও কলেজ এবং মাদ্রাসা গুলোতে ২০১৫ সালে ৩০শে অক্টোবরের পর থেকে যত নিয়োগ সৈরাচারী সরকার দিয়েছেন; তাদের প্রত্যেকের সনদ যাচাই (স্ক্যান) করলেই সুশিল সমাজের চোখে পড়বে।। এনটিআরসিএ পরপর ১৬ টি নিবন্ধন পরিক্ষা নেন। ১৬ টি পরিক্ষার নিয়ে মাত্র ৩ টি গণবিজ্ঞপ্তি দেন। আর এই ৩ টি গণবিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লিগের বাইরে অন্য কারোর চাকরি পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।

একজন এর সনদ অন্য জনে ব্যবহার করে চাকরি করছেন। ২লক্ষ টাকায় সনদ এবং ৬/৮ লক্ষ টাকায় চাকরি দিয়েছেন। ৬০ হাজার জাল সনদ ধারী নিয়োগ পেয়েছে। অথচ বৈধ সনদ ধারী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। এতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি হয়েছে। এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ড্রাইভার জিয়ার ৫০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। সিস্টেম এনালিস্ট রাসেল কানাডায় বাড়ি গাড়ি করে কানাডায় অবস্থান করছে।

দরখাস্ত করেছে একই প্রতিষ্ঠানে ২/৩ বার, যারা দরখাস্ত করেছে তাদের চাকরি না দিয়ে বলা হয়েছে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায়নি। যারা আবেদন করেছে তারা কি যোগ্য নয়। আবেদনই করে নাই অথচ নরসিংদী জেলায় পলাশ থানাধীন খুদি মাহমুদ বালিকা বিদ্যালয়ে আবেদনই করে নাই অথচ নরসিংদী জেলায় পলাশ থানাধীন খুদি মাহমুদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এর শ্যালিকা রাবেয়া সুলতানা কে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

৩৫ বছরের বেশি বয়স হলে চাকরি দেওয়া যাবে না। অথচ ৩৫ এর বেশি বয়সের ৪৪০ জনকে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষা চাকরির সুনিশ্চিত নিয়োগের জন্য। কিন্তু তারা একাডেমিক সনদ বলে। যাহা সম্পূর্ণ অমূলক। মুখে বলে ৫৪ হাজার, প্রকৃত নিয়োগ দেয় ১২ হাজার। কখনও বলে ৮৭ হাজার, নিয়োগ দেয় ২৫ হাজার। আবার কখনও ৯৬ হাজার শূন্য পদের বিঞ্জপ্তি দিয়ে বাস্তবে নিয়োগ দেয় ১৯৫৮৬ জন। শুধু অশুভংকরের ফাঁকি।

১২ জুন ২০১৮ সালের আগে যারা পাস করেছি তাদের বয়সের সীমা থাকবে না। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। রিভিউ ৫৪/২১ নং মামলা দেরি করে করার জন্য মামলা খারিজ করে দিয়েছে আমাদের পক্ষে । ২/১/২০২৩ ইংরেজি তারিখে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি আমাদের সাথে আলোচনায় বলেন, রায় সরকার পক্ষে যাবে। অথচ( ২/২/২০২৩) ইং তারিখে নিবন্ধন সনদ ধারী দের পক্ষেই রায় ঘোষনা করা হয়েছে। রায় ঘোষণা করার আগেই কিভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন একজন মন্ত্রী।

সংসদে শিক্ষা মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল সময় বলেছেন ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ বাস্তবে, ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১টা বিঞ্জপ্তি দিয়ে মাত্র ১৯৫৮৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের ৭ হাজার অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে বদলী হয়েছে। ২০২৪ সালে ৩০ জুলাই সৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সরকার জোর করে আদালত এর ঘাড়ে বন্দুক রেখে রায় সরকার পক্ষে নিয়ে নেয়।

এত অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে নিবন্ধন ধারী বিগত (০৫-০৬-২২থেকে ২১-১২-২২) ২০০দিন যাবৎ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শান্তি পূর্ন ভাবে আন্দোলন( সকাল সন্ধ্যা অনশন) পালন করেন৷ দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ায় সৈরাচারী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশার বাণী না পাওয়ায় ২১-১২-২২ শিক্ষা মন্ত্রীর উদ্দেশ্য পদযাত্রা শুরু করলে আন্দোলন কারীদের উপর পুলিশ হামলা চালান ও বেধড়ক মারপিট করেন। এতে করে প্রায় শতাধিক নিবন্ধন সনদ ধারী হতাহত হয়। ৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি সেক্রেটারি জি.এম ইয়াছিন ভাই কে কল দিয়ে মিথ্যা চাকরির আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন স্হগিত করতে বলেন৷। ৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি সেক্রেটারি জি.এম ইয়াছিন ভাই কে কল দিয়ে মিথ্যা চাকরির আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন স্হগিত করতে বলেন৷ । জি. এম ইয়াছিন ভাই সেই কলে বলেন, ম্যাডাম, শুনছি এনটিআরসিএ চতুর্থ গণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিবেন!!

কিন্তু,বাস্তবে কিছক্ষণ পরেই মামলা চলমান অবস্থায় ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেন। এবং আমাদের আবেদন করা থেকে বঞ্চিত করেন।

১) ০২-০১-২০২৩ তারিখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আমাদের সাথে আলোচনায় বসেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সহ সচিব গণ।

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, আইনের বাইরে আমি যেতে পারবো না। নিবন্ধন ধারীরা বলেন মামলা তো চলমান।সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী দিপুমনী অত্যন্ত গর্বের সহিত অহংকার নিয়ে বলেন, আইন সরকারের (আমার) পক্ষেই আসবে। এই কথা বলে সকল নিবন্ধন ধারীদের হতাশ করে উনি চলে যান৷ শতবার অনুনয়-বিনয় করেও উনার মন গলাতে ব্যার্থ হয় নিবন্ধন ধারীরা। নিবন্ধন ধারীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

২) কিন্তু বাস্তবে তার ঠিক ১ মাস পরেই (০২-০২-২০২৩) তারিখে মামলা করায় রায় নিবন্ধন ধারীদের পক্ষেই আসে। (২২-০২-২০২৩)তারিখে রায়ের কপি বের হয়। রায় নিবন্ধন ধারীদের পক্ষে আসায় সবাই আবার আশার আলো ( সোনার হরিণ) খুঁজে পাওয়ার মতো খুশি হন। কিন্তু সেই খুশি আর বাস্তবে রুপান্তরিত হতে দেন না ফ্যাসিষ্ট সৈরাচারী আওয়ামী সরকার শেখ হাসিনা সহ দিপু মনি।

পরবর্তীতে নিবন্ধন ধারীদের ঠকিয়ে ৩১মার্চ ২০২৪ তারিখে ৯৬৭৩৬ টি শুন্য পদের বিপরীতে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দেন। ২০শে আগষ্ট ১৯৫৮৬জন কে সুপারিশ প্রাপ্ত করেন। তার মধ্যে ৭ হাজার পদোন্নতি মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে। শুরু থেকেই বারংবার মামলার রায় নিবন্ধিত দের পক্ষে আসাতে সরকার পক্ষ ( এনটিআরসি) সকল রীট ও কন্টেম্ট মামলা একত্রিত করে ৭১/২৩ নং সিএ নামে মামলা চালায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলা কালে (০২-০৭-২০২৪) তারিখে মামলার শুনানি হয়। সেদিন এনটিআরসি এর আইনজীবি এস. কে. মোরশেদ আলম ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট কথা বলেন। আর এদিকে নিবন্ধন ধারীদের দের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিষ্টার কামালুল আলম স্যার কে মাত্র (১২মিনিট) কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলার রায় ঘোষণা হয় গণভবনের মতাদর্শেই ৩০ জুলাই, ২০২৪ ইং তারিখে। শেখ হাসিনার মনোনীত প্রধান বিচারপতি; ওবাইদুল হাসান। মামলার রায় খারিজ করে দেন। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে রায় প্রচারিত হয়। যাহা জাতীয় ইতিহাসে কলঙ্কিত।বাংলাদেশের চরম নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মুহূর্তেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিংস্র নিবন্ধন ধারীদের পক্ষেই আসে।

(২২-০২-২০২৩)তারিখে রায়ের কপি বের হয়।।

রায় নিবন্ধন ধারীদের পক্ষে আসায় সবাই আবার আশার আলো ( সোনার হরিণ) খুঁজে পাওয়ার মতো খুশি হন। কিন্তু সেই খুশি আর বাস্তবে রুপান্তরিত হতে দেন না ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার শেখ হাসিনা সহ দিপু মনি।। নিবন্ধন ধারীর পক্ষ থেকে আবার মামলা রিভিউ করেন। সাধারণ নিবন্ধন ধারীদের পক্ষ থেকে কেউ এনটিআরসি অফিসে গেলে, তার সাথে আইন বিষয়ক সচিব লুৎফর রহমান, ওবাইদুর রহমান অত্যন্ত দূর্ব্যবহার করতেন। নিবন্ধন ধারীদের ঠকিয়ে ৩১মার্চ ২০২৪ তারিখে ৯৬৭৩৬ টি শুন্য পদের বিপরীতে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দেন।

২০শে আগষ্ট ১৯৫৮৬জন কে সুপারিশ প্রাপ্ত করেন। তার মধ্যে ৭ হাজার পদোন্নতি মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে।। শুরু থেকেই বারংবার মামলার রায় নিবন্ধিত দের পক্ষে আসাতে সরকার পক্ষ ( এনটিআরসি) সকল রীট ও কন্টেম্ট মামলা একত্রিত করে ৭১/২৩ নং সিএ নামে মামলা চালায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলা কালে (০২-০৭-২০২৪) তারিখে মামলার শুনানি হয়।

সেদিন এনটিআরসি এর আইন জীবি এস. কে. মোরশেদ আলম ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট কথা বলেন। আর এদিকে নিবন্ধন ধারীদের দের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিষ্টার কামালুল আলম স্যার কে মাত্র (১২মিনিট) কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলার রায় ঘোষণা হয় গণভবনের মতাদর্শেই ৩০ জুলাই, ২০২৪ ইং তারিখে। শেখ হাসিনার মনোনীত প্রধান বিচারপতি; ওবাইদুল হাসান। মামলার রায় খারিজ করে দেন। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে রায় প্রচারিত হয়। যাহা জাতীয় ইতিহাসে কলঙ্কিত।বাংলাদেশের চরম নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মুহূর্তেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিংস্র নিবন্ধন ধারীদের ঠকিয়ে ৩১মার্চ ২০২৪ তারিখে ৯৬৭৩৬ টি শুন্য পদের বিপরীতে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দেন।

২০শে আগষ্ট ১৯৫৮৬জন কে সুপারিশ প্রাপ্ত করেন। তার মধ্যে ৭ হাজার পদোন্নতি মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে।। শুরু থেকেই বারংবার মামলার রায় নিবন্ধিত দের পক্ষে আসাতে সরকার পক্ষ ( এনটিআরসি) সকল রীট ও কন্টেম্ট মামলা একত্রিত করে ৭১/২৩ নং সিএ নামে মামলা চালায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলা কালে (০২-০৭-২০২৪) তারিখে মামলার শুনানি হয়।

আন্দোলন ( অবস্হান) কর্মসূচি করা পালন হয়।ঐ দিন চেয়ারম্যান ছিলেন না। উনার পক্ষ থেকে সচিব স্যারের সাথে আমাদের একটা প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা অন্তে সচিব মহোদয় বলেন, ডাটাবেইজ তৈরি করে (১ম-১২তম) দের জন্য একটা বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা দ্বায় মুক্ত হতে চাই। উনার হিসাব অনুযায়ী একটা ধারণা দেন আমরা নিয়োগ বঞ্চিত আছি কমবেশি হাজার দশেকের কাছাকাছি। তারপর ৬ ষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তি দিবেন।

৫ ই আগষ্ট বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়। নতুনভাবে আমরা জীবনযাপনের সুযোগ পাই

সৈরাচারী দূশাসনমুক্ত জীবন!!

কিন্তু আসলেই কি জাতী স্বৈরাচার মুক্ত হতে পেরেছে?

আমরা (১২-০৮ -২০২৪) তারিখ

এনটিআরসি এ অফিসের সামনে মানববন্ধন পালন করি। এরপর (০৪-০৯-২০২৪)তারিখ এনটিআরসি এর সামনে আন্দোলন ( অবস্হান) কর্মসূচি করা পালন হয়।ঐ দিন চেয়ারম্যান ছিলেন না। উনার পক্ষ থেকে উর্দ্ধতন মহলের সাথে আমাদের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা অন্তে সচিব বলেন; ডাটাবেইজ তৈরি করে (১ম-১২তম) দের জন্য একটা বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা দ্বায় মুক্ত হতে চাই। উনার হিসাব অনুযায়ী একটা ধারণা দেন আমরা নিয়োগ বঞ্চিত আছি কমবেশি হাজার দশেকের কাছাকাছি। তারপর ৬ ষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তি দিবেন। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন এখনও দেখা যায়নি। এরপর আবার শাহবাগে (১৭-১০-২০২৪) তারিখ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। তখন প্রশাসনের তরফ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটা প্রতিনিধি দলকে নিয়ে যাওয়া হয়।সারাদিন অপেক্ষা করার পর বলা হয় ১সপ্তাহ ধৈর্য ধরতে, সেই ১ সপ্তাহ আজও পূণ হলোনা।

আমরা আবার, (২২-১২-২৪) এনটিআরসি এ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করি।(২২-১২-২৪) প্রধান উপদেষ্টা এ পি এস স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করি এবং আমরা বিশেষ অনুরোধে এনটিআরসি এ অফিসের সামনে এসে আন্দোলনরত নিবন্ধন ধারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন ও প্রশাসনের মাধ্যমে এনটিআরসিএ'র চেয়ারম্যানের সাথে একটা প্রতিনিধি দলের আলোচনার টেবিল তৈরি করে দেন। ঐ দিন চেয়ারম্যান ও প্রতিশ্রুতি মূলক চিঠি ইস্যু করেন। সেই চিঠিরও আজও বাস্তবায়ন হয়নি৷

সর্বশেষ আমরা (১০-০২-২৫) তারিখ শাহবাগে অবস্থান করি। এক পর্যায়ে নিবন্ধন ধারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ঐ দিন নিবন্ধন ধারীদের উপর পুলিশ অমানুষিক, নির্মমভাবে নির্যাতন করেন । ঠিক স্বৈরাচারী সরকারের আমলের মতো। ১৫০ জনের মতো মারাত্মক ভাবে আহত হন। ১৪ জন কে এরেস্ট করা হয়৷ জলকামান ব্যবহার করা হয়, টিয়ারসেল গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়, বেধড়ক ভাবে লাঠিচার্জ করা৷ এত নির্যাতন সহ্য করেও প্রশাসনের নির্দেশে সন্ধায় আমরা শাহবাগ ত্যাগ করি। তীব্র শীতের রাতে শহীদ মিনারে সারারাত নিঝুম অন্ধকারে রাত্রি যাপন করি। এক ভাই দীর্ঘদিন কোমায় থাকেন। ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য বৈধ সনদ ধারী কষ্ট সত্যিই নজিরবিহীন। যা সুশিল সমাজে কলঙ্কিত অধ্যায়। যেখানে হাজার হাজার জাল সনদ ধারী (অবৈধ সনদ ধারী) দাপটের সহিত কর্মরত।

পরদিন, (১১-০২-২০২৫) প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের প্রতিনিধি দলের ৮ জনকে পুলিশের গাড়িতে করে সচিবালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে শিক্ষা সচিব স্যারের পক্ষ থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী নেতৃবৃন্দকে বলেন আপনাদের কথা ও দাবী যথেষ্ট যৌক্তিক, যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সমাধানের জন্য মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব স্যারের কাছে উপস্থাপন করবো।

ছাত্র আন্দোলনের সুফল বৈষম্য বিরোধী নতুন বাংলাদেশের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার।এ লক্ষ্যে বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা বদ্ধ পরিকর। এমত অবস্থায় দীর্ঘদিন নিবন্ধিত বৈধ সনদধারী শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধিত ১-১২ তম শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

আমার বাবাও একজন সরকারি কলেজের অবসর প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল। একজন শিক্ষকের মেয়ে হিসেবে আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা সহ অনেক উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ফলে একজন শিক্ষক এর মেয়ের প্রতি অন্য একজন শিক্ষকের মমত্ববোধ থাকা স্বাভাবিক। সেই হিসেবে আমি প্রত্যাশা করি এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ ধারী দের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সকল অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাদের নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা করতে যা যা করা উচিত তাই করবেন বলে আশা করি।

লেখক : শিক্ষক, তাসলিমা খাতুন সাওফা, আলিমা আফরোজ লিমা

১০ম এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ ধারী ,০১৯৩৬-২৯৭২৭৩

অর্থবছর পরিবর্তন করতে হবে

প্রথমে বলতে চাই- অর্থবছর পরিবর্তন করতে হবে। আমরা জানি, ব্রিটিশ আমল থেকে অর্থবছর জুলাই-জুন হিসেবেই

নিরাপত্তাহীনতার নাগপাশে বন্দি বাংলাদেশ

ঘরে-বাইরে এক অদ্ভুত আতঙ্ক। জনতার চোখে বিস্ময় নয়, ভয়। বৃদ্ধের কাঁপা ঠোঁটে আস্থার কথা নেই,

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস

বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি প্রধান উন্নয়নশীল মিশ্র অর্থনীতি। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি

রাষ্ট্রের অর্জিত স্বাধীনতা ও তার রক্ষাকবচ

রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা বলতে সাধারণত আমরা কোনো রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমারেখা ও সার্বভৌমত্বকে বহিঃশত্রুর হাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যবসা-বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে বাজেট ততটা আশাব্যঞ্জক নয়

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান এর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার‌ হ্যাক

রাঙ্গুনিয়ায় ছাত্রশিবিরের আয়োজনে নামাজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

তিস্তার পানিতে আবারও তলিয়ে গেছে বাদামসহ রবিশস্য

সংস্কারের বিপরীতে চলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: টিআইবি

নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই: সালাহউদ্দিন

জুলাই সনদের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা

কুলাউড়া সীমান্তে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

একসঙ্গে দেশের ৩০ জেলা ও দায়রা জজকে বদলি

নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই যেকোন একটা সময় হতে পারে

দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে

তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর হার না বাড়ানোয় জনস্বাস্থ্য উপেক্ষিত: বিএনটিটিপি

দ্রুত ‘জুলাই চার্টার’ প্রকাশের আশা প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব

বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে ২৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

ঐক্যবদ্ধের জন্য আমরা রাজনীতি সৃষ্টি করেছি: প্রধান উপদেষ্টা

শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের উন্নতি দেখতে চান সিমন্স

স্ত্রী-ছেলেসহ সাবেক আইজিপি শহীদুলের ২৩ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে’ স্বীকার করলেন বিসিবি সভাপতি