ই-পেপার শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
সোহরাওয়ার্দী-নয়াপল্টন ঘিরে উত্তাপ বাড়ছেই

বিপরীত মেরুতে সরকার-বিএনপি

পাল্টাপাল্টি দোষারোপ-হুমকি
বিশেষ প্রতিবেদক
০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:৫৬
আপডেট  : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:০১

সহিংসতা করলে সমুচিত জবাব : কাদের

নয়াপল্টনেই গণসমাবেশ করবে বিএনপি : ফখরুল

সমাবেশে খালেদা যোগ দিলে ব্যবস্থা নেবেন আদালত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সোহরাওয়ার্দী-নয়াপল্টন ঘিরে প্রতি মুহূর্তে গতিপথ বদলাচ্ছে রাজনীতির বাতাস। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ডাকা ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের ভেন্যু নিয়ে উত্তাপ বাড়ছেই। সরকারের নির্দেশে আইনশৃংখলাবাহিনী সমাবেশের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিলেও বিএনপি নয়াপল্টনেই অনড় অবস্থানে রয়েছে। এ নিয়ে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। বিএনপি বলছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি নিয়ে অত্যধিক আগ্রহে সরকারের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, নয়াপল্টনে রাজপথ বন্ধ করে জনভোগান্তির অসদুদ্দেশ্যে সমাবেশ আয়োজনে দুরভিসন্ধি আছে বিএনপির। পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ও হুমকিমূলক বাগযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে দুই প্রধান দল। গতকাল বুধবারও দুই দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও একাধিক মন্ত্রী বাহাসে লিপ্ত হন।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ১০ ডিসেম্বর। এদিন ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। আর এ সমাবেশ তারা করতে চায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। এতে তারা ১০ লাখ লোকের জমায়েত করতে চায়। তবে সরকার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিতে নারাজ, সরকার চায় বিএনপি এ সমাবেশ করুক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

বিএনপির এ সমাবেশের আগের দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। তবে সোহরাওয়ার্দীতে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের যে তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল তা পরিবর্তন করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- বিএনপিকে সহযোগিতা করতেই ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

১০ ডিসেম্বর ঘিরে সব আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে বিএনপির সমাবেশের ভেন্যু। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জনভোগান্তি এড়িয়ে বিএনপি যেন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ। ছাত্রলীগের সম্মেলনের পরপরই ভেঙে ফেলা হবে মঞ্চ। বিএনপির সমাবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়ার পেছনে সরকারের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। তারা নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চান। ফলে দিন যত এগুচ্ছে, তত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।

এরই মধ্যে ২৬ শর্তে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে রয়েছে পতাকা-ফেস্টুনের আড়ালে লাঠি, লোহার রড বহন না করা, বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করা ও সমাবেশ শুরুর ২ ঘণ্টা আগে থেকে জন সমাগমের মতো বিষয়।

বিএনপি নেতারা গতকালও বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে। সরকার কখনো অনুমতি দেয়, কখনো দেয় না, অনেক সময় অনুমতি দিলেও আক্রমণ করে। আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বাধা-বিপত্তি দিলেও কর্মসূচি থাকবে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলছেন, বিএনপির সমাবেশের উদ্দেশ্যটাই খারাপ। উদ্দেশ্যটা হলো- স্থিতিশীল পরিবেশকে অস্থিতিশীল করা, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস, পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পুড়িয়ে মারা। যে ঘটনাগুলো তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ঘটিয়েছে। একইভাবে তারা আবার শুরু করার পাঁয়তারা করছে। তাদের লক্ষ্য হলো দেশের মানুষের শান্তি দূর করে সবাইকে আতঙ্কিত করা, ভয়-ভীতি দেখানো, উল্টো পথে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপিকে সহযোগিতা করা ও তাদের জনসমাবেশ ভালো জায়গায় করার জন্য ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ৮ ও ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ, আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) চান বিএনপি ভালোভাবে সমাবেশ করুক।

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) গণসমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার জন্য বলা হয়েছে, ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা ইজতেমা (তুরাগ) মাঠে করতে পারে। এখানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের জমায়েত হয়। তারা পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলার মাঠে নিতে পারে। সেখানে ২০ লাখ লোক এনে দেখাতে পারে যে জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য হলে সেখানে ২০ লাখ লোক এনে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে।’

১০ ডিসেম্বর ঘিরে আওয়ামী লীগ নির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচি না দিলেও রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সক্রিয় থাকার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপির গণসমাবেশের আশপাশে নেতাকর্মীদের অবস্থান না করতে বলেছে দলের হাইকমান্ড।

গত ২৮ নভেম্বর দিনাজপুরে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না। গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা উস্কানি দেবেন না। উস্কানি দিলে কিন্তু খবর আছে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা মাঠ ছেড়ে দিয়ে সতর্ক পাহারায় থাকবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি বলে আমরা তাদের সমাবেশে বাধা দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের সমাবেশ দিয়েছি ৮ ডিসেম্বর। নেত্রী বললেন দরকার নেই। তারা সমাবেশ করুক। আমরা ছাত্রলীগের সমাবেশ ৬ তারিখে এগিয়ে এনেছি। তবে এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়, এটি শেখ হাসিনার উদারতা।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণের নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এখানে গণতন্ত্র অক্ষুণ্ন আছে। যে কোনো রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে, তাদের বাক স্বাধীনতা আছে। বিএনপিও স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে। সেই অধিকারকে সরকার সংরক্ষণ করে। তাদের (বিএনপি) যদি প্রকাশ্যে কথা বলতে হয় তাহলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কথা বলতে পারে। নয়াপল্টন ছোট জায়গা, ময়দানও নয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলা মানেই তাদের একটা দুরভিসন্ধি আছে, নিশ্চয়ই কোনো মতলবি ভাবনা আছে। তারা যদি মনে করে যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না করে গায়ের জোরে যেখানে ইচ্ছা সেখানে সমাবেশ করবে, এটা একটা রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, সাংবিধানিক সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কোনো দ্বিধা করবে না।

১০ ডিসেম্বরের আগে ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন, ৩ ডিসেম্বের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সম্মেলন, ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ করার মাধ্যমে বিএনপি প্রায় দুই মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, ফরিদপুর ও সিলেটে সমাবেশ করেছে বিএনপি।

আ.লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি :

বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে বিএনপির উদ্দেশে একথা বলেন।

বিএনপি কেন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বদলে তাদের পার্টি অফিসের সামনে ছোট এলাকায়, যেখানে ৩৫ হাজার স্কোয়ারের ফিটের মতো একটা ছোট জায়গায় তাদের সমাবেশের বেছে নিলো প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।

আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দিবে।

এদিকে, গতকাল বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারও দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই বিএনপি গণসমাবেশ করবে। বতর্মান সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণসমাবেশ করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর বিএনপির উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, দশ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণভাবে গণ সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশ করা নিয়ে সরকারের অনুমতি প্রসঙ্গে তারা বলেন, বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনেই ঢাকার গণসমাবেশ হবে।

এদিকে, সোহরাওয়ার্দীতে না করে পল্টনে সমাবেশের নামে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সচিবালয়ে ডেল্টা প্লান ও সমৃদ্ধির সোপান নামে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে তিনি আরও বলেন, এক প্রকার হনুমান আছে তদের সব সময় চুলকানির স্বভাব আছে। বিএনপিও পল্টনে সমাবেশের নামে সেই আচরণ করছে। সরকার তাদের সমাবেশ ভালোভাবে করার জন্য সহায়তা করছে। আর তারা বিশৃঙ্খলা করতে চায় দেখেই সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চায় না। তারা যদি পল্টনে সমাবেশ করার জন্য জেদ ধরে তাহলে সরকারও তার মতো করে ব্যবস্থা নিবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনগণকে নিয়ে যে কোন বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করবে।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশের নামে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টের চেষ্টা করে তবে তারা ভুল করবে। আর বেগম খালেদা জিয়া যদি সমাবেশে যোগ দেন তাহলে আদালত ব্যবস্থা নেবেন।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘নারী পুলিশের গৌরবময় যাত্রা ও অর্জন- ১৯৭৪-২০২২’ শীর্ষক বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এস কথা বলেন তিনি।

যদি সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া যোগদান করেন তাহলে তার জামিন বাতিল হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালত ব্যবস্থা নেবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশে অনেক মানুষের সমাগম হবে। তাই তারা দুটি জায়গা চেয়েছিল, এর মধ্যে একটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অন্যটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব ধরনের জনসমাগম হয় আর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ আগে থেকেই সবার জন্য বন্ধ। সেখানে জাতীয় সংসদ, তাই সেখানে কাউকেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয় না। ডিএমপি কমিশনার বিএনপির দাবি বিবেচনা করেই সমাবেশ করার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে ছাত্রলীগের কিছু অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের কারণে সেই অনুষ্ঠানগুলো এগিয়ে আনা হয়েছে। তারা যেহেতু অনেক মানুষ নিয়ে আসবে, তাই তারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে অনুষ্ঠানটি করতে পারে সেজন্য তাদের এ ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করুন। আপনারা কোনোভাবেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবেন না এবং তার চেষ্টাও করবেন না। কারণ বাংলাদেশ এখন একটা পর্যায় চলে গেছে, এগিয়ে চলছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অহেতুক কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী মেনে নেবে না। বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে, তবে তারা ভুল করবে।

এবি/ জিয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে উন্নয়নের রূপকার, চতুর্থবারের মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সফল

বন্ধ হচ্ছে না চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া

চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১৯৮০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় চলন্ত

শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন এমরান

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য

ঈদ যাত্রায় চলবে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন

  ২৩ জুন হতে ৩ জুলাই পর্যন্ত মিতালী ও মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ   যাত্রী ভোগান্তি কমাতে নানাবিধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তীব্র গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন মির্জা আব্বাস

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ বইছে

ভারতীয় ৫২৭ খাদ্যপণ্যে ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ

চার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রজ্ঞাপন

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: শেহবাজ শরীফ

জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হোমনার বাঘা শরীফ

দিল্লির চোখে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা

কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০

বঙ্গোপসাগরে জাহাজ ডুবি, ভাসছে ১২ নাবিক

মানবাধিকার নিয়ে সরকারের অর্জন স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র

শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁস, ঢাবির তিন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

গাজায় ২০ জনকে জীবন্ত কবর দেওয়ার অভিযোগ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের ভাবনা ও সাফল্য

আগুন-তালার পর চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়বে না শিক্ষার্থীরা

টানা ৩ দিন ধরে কমছে স্বর্ণের দাম

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ আবার ৪২ ছাড়ালো