এক সময় হাজার হাজার যাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত ছিল মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট। স্বপ্নের পদ্মা সেতু রোববার সকাল থেকে চালু হওয়ায় এখন যাত্রী শূন্য হয়ে গেছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটটি। গত তিন দশক ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে যাতায়াতের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা
সেতু উদ্বোধনের পর ঘাটে নেই যাত্রীদের আনাগোনা। এদিকে নৌপথকে ঘিরে লঞ্চ ও স্পীডবোটসহ ঘাটে কয়েক হাজার শ্রমিক ও ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়ছেন।
যাত্রী পারাপারে নেই কোন হাক-ডাক। রবিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দিলে ফেরীঘাটে মানুষের আনাগোনা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এর ফলে এমন ভিন্ন চেহারায় কাঠালবাড়ী ঘাট কি আর কখনো আগের চেহারায় ফিরে আসবে কিনা তা কেহ বলতে পারে না।
কাঠালবাড়ী ঘাটে ঘুরে দেখা গেছে, ঘাটের আশপাশের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ। অন্যান্য দোকানপাটও বন্ধ। রেস্টুরেন্টের মালিক কর্মচারীরা সামনে বেঞ্চে বসে অলস সময় পার করছেন।
মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক শফিক বলেন, করোনার লকডাউনের সময় এমন চেহারা ছিলো ঘাটের। এছাড়া এক যুগের হোটেল ব্যবসার সময়ে এমনটা দেখিনি। সবসময় এখানে গাড়ির চাপ ছিল, ছিল মানুষেরও চাপ। কিন্তু এখন থেকে কেমন পরিস্থিতি হবে এখনো কিছু বুঝছি না। আরও এক দুই সপ্তাহ গেলে বোঝা যাবে।
তবে ব্যবসার পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় তারা খুশি।
লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালের ভেতরে রাখা আছে অসংখ্য স্পিডবোট। আর একটি মাত্র লঞ্চ ঘাটে নোঙর করা আছে। অন্যদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ, র্যাব ও নৌ পুলিশের সদস্যদের কড়া পাহাড়ায় ছিল। হঠাৎ কোনো বিপদ হলে যেন এগিয়ে যেতে পারেন সেজন্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও ঘাটে আছেন।২৫জুন দুপুরে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের পথ সহজ হয়।
এ বিষয় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন জানান। নৌ পর্যন্ত ডেভলপ করব সেখানে স্পিডবোট থাকবে ছোট ছোট লঞ্চ থাকবে সমাগম হবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে আসে পাশের চর অঞ্চলে পিকনিক করতে পারবে। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান হবে।