
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে ডুবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসাইনের মৃত্যুর প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনসংলগ্ন সড়কে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো এই বিক্ষোভ শুরু হয়। শুরুতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্যারিস রোডে আসেন। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে শ্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দিনদুপুরে সায়মা সুইমিং পুলে ডুবে মারা গেছেন, অথচ তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সুইমিং পুল ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের অব্যবস্থাপনার কারণেই এই মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি তাঁদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এই মৃত্যুর দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে এবং যাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তারা আরও জানান, আগামী বুধবার এ ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য, সায়মার মৃত্যুতে কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা জানান, ‘নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’
রোববার বিকেলে ক্রীড়াবিদ শিক্ষার্থী সায়মা প্রশিক্ষণ নিতে ক্যাম্পাসের সুইমিং পুলে যান। পানিতে নেমে কয়েকবার এপার-ওপার আসা-যাওয়ার সময় হঠাৎ করে তিনি তলিয়ে যান। এ সময় উপস্থিত অন্যরা আশপাশের লোকজনকে খবর দিলে তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সায়মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মুন্নুজান হলে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
আমার বার্তা/এল/এমই

