এর আগে, গত ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে নিষিদ্ধ করা হয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করেছে। কোনো জায়গায় তারা প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। কোথাও কোথাও প্রতিরোধ করতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেছে।
পুলিশও ঝটিকা মিছিল ঠেকানো ও মিছিলকারীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা দেখিয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ‘মিছিলের চেষ্টাকালে’ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৪৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছিল ডিএমপি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম তখন বলেন, উত্তরা, ফার্মগেট, তেজগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ থেকে এসেছেন। টাকার বিনিময়ে তাদের দিয়ে মিছিল করানো হয়েছে।
বিভিন্ন সময় ডিএমপির জানানো তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে মঙ্গলবার ৬ জনসহ ঢাকায় মোট ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ঢাকায় কিছু জায়গায় মিছিলের কথা তারা শুনেছেন। এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা এবং মিছিলকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলা আছে।
আমার বার্তা/এল/এমই