কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে চাপ সৃষ্টি করে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের টিআর-কাবিখার প্রকল্পের বরাদ্দ নেয় উপজেলা বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম (সবুজ)।প্রকল্পের অধিকাংশ বিল উত্তোলনও করেছেন সায়েদুল ইসলাম (সবুজ)।বৃহস্পতিবার সমন্বয়ক সবুজের আহব্বানে উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিছু সংখ্যক সমন্বয়ক উপস্থিত হয়ে সবুজের কাছে প্রকল্পের অর্থের হিসাব চান বৈষ্যম ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান রনিসহ অনেকেই। এনিয়ে দু গ্রুপে বিভক্ত হয় তাদের মধ্যে। উত্তোলনকৃত টাকার হিসাব নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডতার একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতরা হলেন মেহেদী হাসান রনি, রনজু মিয়া সাজেদুল ইসলাম সবুজ,রনজু মিয়া ও রাফি ইসলাম।এ সংঘর্ষের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, কেন্দ্রিয় ও জেলা কমিটির নির্দেশে বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলার সকল সমন্বয়কদের আলোচনা সভার জন্য শহীদ মিনার চত্বরে ডাকি। এসময় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির কিছু ছেলে রনজু ইসলাম এর সাথে তর্কে জড়ায় এবং আমি বাধা দিতে গেলে আমার ওপর হামলা করে।
মেহেদী হাসান রনি জানান, সবুজ বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে ঠিকাদার ও চেয়ারম্যানদের কাছে চাপ দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণসহ তার কাছে জানতে চাইলে সে আমাদের ওপর অতির্কিত ভাবে হামলা করে।
রাফি জানায়, সবুজ বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলায় প্রকল্প, নানা-অনিয়ম দূর্নীতি করে আসছে। সে যেনো নতুন করে কোন অনিয়ম দূর্নীতি সহ সুবিধা নিতে না পারে, সে জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার আহবান জানান।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠনো হয় এবং এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে । তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন গত ব্যবসথা নেওয়া হবে।