ই-পেপার রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

মানহীন হাসপাতালে রমরমা চিকিৎসা বাণিজ্য, অনুমোদন নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা

খাব্বাব হোসেন ত্বহা, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার :
২১ জুন ২০২৫, ২২:০২
ছবি : প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে মানহীন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানগুলোই মানছে না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নীতিমালা। এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে প্রতিদিনই নানাবিধ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। এমনকি, অস্ত্রোপচারকালে রোগীর মৃত্যুসহ নানা গুরুতর অভিযোগও রয়েছে এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

জুন মাসে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ দিন ব্যাপী অনুসন্ধান চালায় দৈনিক আমার বার্তা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একশ্রেণির দালাল ও সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন নামে ক্লিনিক ও হাসপাতাল পরিচালনা করছেন। কোনো কোনো হাসপাতালে নেই ডাক্তার এবং নার্স। আবার গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকলেও অন্য ডাক্তার দিয়েই করানো হয় সিজার। এ কারণে তৃণমূলে ৫০ শতাংশ সিজার হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ। এসব ত্রুটিপূর্ণ সিজারের কারণে মা ও শিশু উভয়ের জীবন পরবর্তী সময়ে বিপন্ন হয়ে পড়ছে। বেঁচে থাকলেও স্বাভাবিক জীবনে তাদের ফিরে আসার সম্ভবনা কম বলে জানিয়েছেন গাইনি বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায়ও এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

সরকারি হাসপাতালগুলোর সন্নিকটে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল তৈরীতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এ ব্যাপারে ১৯৮২ সালের ২৭ মে জারিকৃত "মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স" অধ্যাদেশে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, "সরকারি হাসপাতালের আশেপাশে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলে তা অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে।"

অথচ, মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আশেপাশে এমনকি প্রধান ফটকের সামনে প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তৈরী হয়েছে শতাধিক ক্লিনিক, চলছে চিকিৎসার নামে রমরমা বাণিজ্য। এই বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অধিকাংশেরই মালিক সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

সাধারনতঃ হাসপাতালগুলোর অনুমোদন দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, সিভিল সার্জন অফিস প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে কোনোরূপ খোঁজ-খবর না নিয়েই অর্থের বিনিময়ে অনুমোদন দিতে সাহায্য করে থাকে, ফলে কোনোরূপ নীতিমালা অনুসরণ না করে গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিক কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না! দালাল নির্ভর এসব ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে মানুষ সর্বস্ব হারাচ্ছে, এমনকি ভুল চিকিৎসায় মারাও যাচ্ছে।

সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, নিয়মিত মাসোয়ারা পাওয়ার কারণে চুপ থাকেন সিভিল সার্জন অফিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কোনোরুপ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মানিকগঞ্জে গড়ে ওঠা এমনই এক হাসপাতালের নাম আল-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতালটির অবস্থান মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার জয়রা রোডে। এই হাসপাতালটিতে আবার সাংবাদিক প্রবেশ মানা। কর্তৃপক্ষ বলেছেন, সাংবাদিক প্রবেশে নাখোশ হন তারা! হাসপাতালটি নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগের ফিরিস্তি।

কিছুদিন পুর্বে দালাল দিয়ে রোগী ম্যানেজের ভিডিও ধারনকালে তাদের নজরে এলে হয়রানির শিকার হন এক স্থানীয় সাংবাদিক। তথ্য প্রকাশে বাধা দিতে ঐ সাংবাদিককে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনে মারধরের তথ্যও এসেছে আমার বার্তার কাছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালে লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালনার দায়ে তৎকালীন মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ কতৃক "স্বাস্থ্যবিধি ২০১০ ও প্রাইভেট প্র্যাকটিস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৮২" অনুযায়ী হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশের তোয়াক্কা না করে হাসপাতাল পরিচালনাকালে ঐ বছর অস্ত্রোপচারের সময় বাবুল মিয়া নামের এক রোগী মারাও গেছেন।

২০২২ সালে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণার দায়ে "ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় হাসপাতালের মালিক মো. আরশেদ আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত, যার নেতৃত্বে ছিলেন র‌্যাব-৪ (সিপিসি-৩) এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন। জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ মো. জুবায়ের ঐ বছরের ৯ জানুয়ারি রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ হাসপাতালে অভিযান চালান।

আবার, চলতি বছরের (২০২৫ সাল) মে মাসে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নের তেঘুরি গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা নারী শারমিন আক্তার পেটে ব্যথা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসকরা অবস্থা জটিল মনে করে তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানেও প্রয়োজনীয় সাপোর্ট ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট(আইসিইউ) না থাকায় ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এক দালালের প্ররোচনায় শারমিনকে মানিকগঞ্জের আল-মদিনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা শারমিনের সিজার করানো হয়। সিজারের একদিন পরই তার নবজাতক শিশুটি মারা যায়। শারমিনের স্বামী মতিয়ার সন্তান মারা যাওয়াকে হাসপাতালের দায়িত্বে গাফলতি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিচারও চেয়েছিলেন।

ঘটনাগুলোর পর দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন গনমাধ্যমে ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজের মাঝে মানিকগঞ্জ জেলার এসব হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়, প্রশ্ন ওঠে চিকিৎসার মান নিয়ে!

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সিঙ্গাইরে ও শুক্রবার (২০ জুন) মানিকগঞ্জের কয়েকটি হাসপাতালে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় নানা অনিয়মের চিত্র।

সম্প্রতি আবারো মানিকগঞ্জের আল-মদিনা জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবস্থান ও বক্তব্য প্রাপ্তির জন্য এবার হাসপাতালটিতে যায় দৈনিক আমার বার্তা।

হাসপাতালে প্রবেশ করলে কিছু চিহ্নিত দালাল ও কথিত স্টাফদের তোপের মূখে পড়তে হয় প্রতিবেদককে। শুধুমাত্র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কথা বলতে পারার শর্তে প্রবেশের পর অ-ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালটির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরশেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি নানা টালবাহানা করে বিষয়বস্তু পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন।

হাসপাতালটির অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "চুপচাপ থাকেন, আপনার সাথে এতো সময় দেওয়ার টাইম আমার না।"।

এক পর্যায়ে হাসপাতালটির স্টাফ পরিচয় দেওয়া এক ব্যাক্তি ভিডিও ধারনে বাধা দিয়ে আমার বার্তা প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চেষ্টা করেন।

এদিকে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ বলছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন মানিকগঞ্জের আল-মদিনা জেনারেল হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ন হয়। এরপর ঐ হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়ন করেনি। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়নবিহীন ভাবেই চলছে হাসপাতালটি। সাথে যুক্ত হয়েছে সিটিস্ক্যানের মতো অত্যাধুনিক পরীক্ষা সরঞ্জামও।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাসপাতাল পরিচালক জানান, সরকারি হাসপাতালের এক শ্রেণির ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয় এবং আয়ারাও রোগী ভাগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে (সরকারি হাসপাতাল থেকে নির্দিষ্ট প্রাইভেট হাসপাতালে প্রেরণ) সহযোগিতা করেন। এক্ষেত্রে তাদের নির্ধারিত কমিশন দিতে হয়। তিনি আরো বলেন, "সিভিল সার্জন অফিসের লোকজন আমাদের সমস্ত বিষয় জানে। তাদের সাথে সমন্বয় করেই আমরা এই ব্যবসা করি।"

বিভিন্ন হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে বাধার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, "হাসপাতালগুলো বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ দিয়ে চলছে। এখন সাংবাদিক গিয়ে যদি তথ্য উলোটপালোট করে তাহলে তারা কি চাইবে যে তাদের কোনো গোপন কিছু ফাঁস হউক?"

মানিকগঞ্জের আরো এক হাসপাতালের নাম সিঙ্গাইর ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল। হাসপাতালটি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত। চলতি বছরের (২০২৫ সালে) ১৬ ও ১৭ মে ঐ হাসপাতালে পরপর দুই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সিঙ্গাইর এলাকার মাজেদুল ইসলামের স্ত্রী ও শায়েস্তা ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপুর এলাকার মো. ফিরোজের স্ত্রী প্রসব বেদনা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই নারী দুটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। পরে দুই নবজাতকের শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ ২৫০ মিলির টেজিড ইনজেকশন পুশ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ন ইনজেকশন পুশ করার পর দুই নবজাতকের হার্টবিট কমে যায় এবং মৃত্যুু হয়।

এ নিয়ে এক নবজাতকের পিতা মো. ফিরোজ বলেন, "ডাক্তার শামিমা রহমান আমার স্ত্রীকে অস্ত্রোপচার করে। পরে আমি পুত্রসন্তানের বাবা হই। হাসপাতালের নার্স আমার ছেলেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করে। ইনজেকশন পুশ করার এক ঘণ্টার মধ্যে আমার ছেলের মৃত্যু হয়।"

আরেক নবজাতকের পিতা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, "জন্মের পর আমার ছেলে সুস্থ ছিল। আমাদের সামনে নার্সরা একটি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার ছেলের হার্টবিট কমে যায়। পরে জানতে পারি সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিলো। পরে ঢাকার শিশু হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরপর দুটি শিশুর মৃত্যুতে আমরা হতবাক। এটি মৃত্যু নয় এটা হত্যা, আমরা হত্যার সঠিক বিচার চাই।"

ডাক্তারি পরামর্শে মেয়ের রোগ পরীক্ষা করতে আসা মানিকগঞ্জের সুশীল সমাজের অন্যতম ব্যাক্তিত্ব আকরাম বলেন, "টেস্ট বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে এই হাসপাতালগুলো বেশ ফলপ্রসূ। তবে বিশেষায়িত ব্যাপারে এই হাসপাতালগুলোর উপর ভরসা করা একদমই উচিৎ নয়। সঠিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে মানিকগঞ্জের বেসরকারি হাসপাতালগুলো এখনো উপযুক্ত নয়।"

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল গেইটে অবস্থানরত এক রোগীর স্বজন মারুফ হাসান জানান, "আমার কাকি সদর হাসপাতালে ভর্তি৷ আজই ছাড়পত্র পাবে বলে জানিয়েছে ডাক্তার। একজনের পরামর্শে আমার কাকিকে নিয়ে মানিকগঞ্জের সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। সেখানে ডাক্তার নানা ধরনের টেস্ট দিয়েছে। পরে সদর হাসপাতাল থেকে জানায় ঐ টেস্টগুলোর কোনো প্রয়োজনই নাই। আসলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এগুলোই এক ধরনের ব্যবসা"।

মানিকগঞ্জের গড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা দীপক সূত্রধর বলেন, "মানিকগঞ্জের হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর পরিবেশ অত্যন্ত নাজুক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সঠিক মেইনটেইন্যন্স না থাকায় এগুলোর মান নষ্ট হয়ে গেছে। অতি দ্রুত প্রশাসনের উচিৎ এগুলো নিয়ে কাজ করা।"

মানিকগঞ্জ ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু বলেন, "বৈধ রেজিষ্ট্রেশন ব্যাতিত এসোসিয়েশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি যারা নতুন আবেদন করেছে কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন সনদ পাননি তাদেরও আইনগতভাবে হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি নেই।"

বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন সময় ভুল চিকিৎসা ও সনদবিহীন নার্স-স্টাফ দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বৈধ সনদধারী ডাক্তার বা নার্স ব্যাতিত হাসপাতাল পরিচালনা করা অপরাধ। এটা নিঃসন্দেহে রোগীর সাথে প্রতারণা। অপঃচিকিৎসা এবং ভুয়া নার্স-স্টাফদের ব্যাপারে সার্বিক দায়বদ্ধতা ঐ হাসপাতালের। ভুয়া ডাক্তার বা নার্সের ব্যাপারে উপযুক্ত প্রমান পেলে এসোসিয়েশন তাদের পক্ষে কখনোই অবস্থান করবে না।"

তবে, বিভিন্ন হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নে বিলম্ব হওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন মানিকগঞ্জ ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু।

অনুমোদনহীন হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. খুরশিদ আলম বলেন, "হাসপাতাল তৈরীর সময় অনুমোদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়। অনুমোদন প্রকৃয়ায় একটি শর্ত হচ্ছে কর্মকর্তা হাসপাতাল পরিদর্শন করবে। এরমধ্যে যেসব হাসপাতাল পরিদর্শন লিষ্টে থাকে সেগুলো আমরা পরিদর্শন করি। এর বাইরে যেগুলো হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে কিন্তু পরিদর্শন করার কোনো অনুমোদন নাই সেগুলো গিয়ে বন্ধ করে দেই।"

লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই যে সকল হাসপাতাল নির্দিধায় পরিচালিত হয়ে আসছে সেগুলোর ব্যাপারে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, "যেই হাসপাতালগুলোর নবায়ন প্রকৃয়াধীন আছে তাদেরকে আমরা চিঠি দিয়ে দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে নবায়ন করে নেওয়ার জন্য। যদি এর মধ্যে না করতে পারে তবে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।"

মানিকগঞ্জের আল-মদিনা হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "একটা হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়ে এসেছি। সেটার নবায়ন ছিলো না। আপনাদের নিকট যদি কোনো তথ্য থাকে বা কোনো অসামঞ্জস্যতার বিষয়ে জানেন তবে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেবো।"

বাজিতপুরের সুজাতপুরে গরু চোর আটক, পুলিশে সোপর্দ

কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামে গরু চুরির সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন এক

ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের জীবন বাঁচাতে সন্তানের আকুতি

দীর্ঘ দুই বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে যাচ্ছে অসহায় মনজুরা

লোহাগাড়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আজও ছেলের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদেন জুলাই শহীদ আবুজরের মা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২০২৪ সালের জুলাই মাসটি দেশের ইতিহাসে এক রক্তাক্ত ও শোকাবহ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাজিতপুরের সুজাতপুরে গরু চোর আটক, পুলিশে সোপর্দ

ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের জীবন বাঁচাতে সন্তানের আকুতি

লোহাগাড়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক

মানহীন হাসপাতালে রমরমা চিকিৎসা বাণিজ্য, অনুমোদন নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা

আজও ছেলের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদেন জুলাই শহীদ আবুজরের মা

রণকৌশলে পরিবর্তন, আরও নির্ভুল ও ভয়ংকর হচ্ছে ইরানের জবাব

জবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা মাহমুদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

রকিব-নূরুল হুদা-আউয়ালদের বিরুদ্ধে রোববার মামলা করবে বিএনপি

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ পুনর্মিলনী

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফের কলমবিরতি ঘোষণা

২০২৫-২৬ বাজেট রাজনৈতিক শূন্যতার দলিল: ফাওজুল কবির

বিদেশে অর্থ পাঠানোর নতুন নিয়ম জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেয়া অযৌক্তিক: আনু মুহাম্মদ

সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করছে সরকার: ফরিদা আখতার

গল টেস্ট ড্র করে নতুন চক্রে পা রাখল বাংলাদেশ

বিগত সরকারের দুর্নীতি আমাদের সব অগ্রযাত্রাকে খেয়ে ফেলেছে

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের আশা পূরণ হবে: মির্জা ফখরুল

ইরান যুদ্ধ নেতানিয়াহুর আজীবন ক্ষমতায় থাকার ধান্দা: বিল ক্লিনটন

ইরানে হামলায় এ পর্যন্ত নিহত ৪৩০, আহত ৩৫০০: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

শহীদদের দলীয়করণ করলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে: ডা. জাহিদ