বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) সহ জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও অবরোধ চলছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মোংলা-খুলনা মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও নদীপথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে আন্দোলনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ও বাঁশের বেড়াজাল বসিয়ে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড, দ্বিগরাজ, কলেজ মোড়, হাসপাতাল ঘাট, শেরাবুনিয়া, কানাইনগর, কুমারখালীসহ প্রায় ১২টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধ সৃষ্টি করেন। একইভাবে মোংলা নদী পারাপার ঘাটেও নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। মোংলা-ঘষিয়াখালী ক্যানেল দিয়ে কোনো বোট, কার্গো বা লাইটার জাহাজ চলাচল করতে দেয়া হয়নি। ইপিজেডসহ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানও কার্যত বন্ধ রয়েছে।
এতে করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কর্মস্থলে যেতে পারেননি, শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যেতে পারেননি। ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানপাট বন্ধ রেখে হরতালে যোগ দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে। এখানে বন্দর, ইপিজেড, ইকোনমিক জোন, সুন্দরবনসহ শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই জেলার চারটি আসন বহাল রাখা জরুরি। দাবি পূরণ না হলে লাগাতার আন্দোলন চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির পৌর আহ্বায়ক মো. জুলফিকার আলী বলেন, মোংলা-রামপালসহ জেলার চারটি আসন পূর্ণবহাল রাখার আহ্বান জানাচ্ছি নির্বাচন কমিশনকে। না হলে আমরণ অনশনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গেল ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে অন্যত্র সংযোজনের প্রস্তাব দিলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। এরপর থেকেই চলছে বিক্ষোভ ও আন্দোলন।
আমার বার্তা/এল/এমই