
ভারতীয় এবং বাংলাদেশের মাদক চোরাকারবারিরা নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করছে। বর্তমানে ফেনসিডিলের মূল্য বৃদ্ধি ও আমদানি কমে যাওয়ায় এবার আরেক নেশা চকো প্লাস সিরাপ ঢুকছে সীমান্ত পথে। এমননি একটি চালান জব্দ করেছে বিজিবি।
বুধবার গভীর রাতে সোনামসজিদ বিওপি’র একটি বিশেষ টহল দল অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত পিলার ১৮৫/১৭-এস হতে আনুমানিক ৪০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মালিকবিহীন ১৫০ বোতল ভারতীয় চকো প্লাস সিরাপ জব্দ করে বাহিনীটি। এই চকো প্লাস সিরাপ ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে সেবন করছে মাদকসেবিরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
গোলাম কিবরিয়া জানান, শীত মৌসুমে মাদকের চাহিদা বাড়ে সারাদেশে। ফলে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। আমদানি কমে যাওয়ায় ফেনসিডিলের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে। ফলে ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে ভারতীয় চকো প্লাস সিরাপের দিকে ঝুঁকছে মাদকসেবিরা। ফলে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দুই দেশের চোরাকারবারিরা। বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে চকো প্লাস সিরাপ আনার চেষ্টা করছে তারা। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালনো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে সোনামসজিদ বিওপি’র একটি বিশেষ টহল দল অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত পিলার ১৮৫/১৭-এস হতে ১৫০ বোতল ভারতীয় চকো প্লাস সিরাপ জব্দ করে।
এরআগে চলতি মাসে আরো ২০০ বোতল এই সিরাপ জব্দ করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং কোন মাদক যেন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে না ঢুকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি এমনটাই জানিয়েছে অধিনায়ক গোলাম কিবরিয়া।
আমার বার্তা/এল/এমই

