
রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ও লং মার্চ পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে।
ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’ এর আহ্বানে নগরীর ভদ্রা মোড় থেকে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন কার্যালয় পর্যন্ত লং মার্চ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় লং মার্চ শুরু হলে হাইকমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগে পুলিশি ব্যারিকেডে মিছিলটি আটকে দেওয়া হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেন এবং সামনে অগ্রসর হওয়ার অনুমতি চান।
এর আগে সকাল থেকে ভদ্রা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও হাই কমিশনের কার্যালয়ের অদূরে সড়ক বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এর ফলে বিক্ষোভকারীরা বাসভবন পর্যন্ত যেতে পারেননি। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, আমরা ইন্ডিয়ার দালালি করতে চাই না। ইন্ডিয়াতে বসে বাংলাদেশ শাসন করবে এটা কোনোভাবে কাম্য না। আমাদের ঢাকায় বসে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। ইন্ডিয়ার কোনো দালালি হবে না, মোদির কোনো কথা চলবে না। আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র আমরা পরিচালনা করব। কোনো দালালের হাতে পরিচালিত হতে দেব না।
এ সময় প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পরও অনুমতি না পাওয়ায় তারা জোরপূর্বক হাই কমিশনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় তারা সেখানে অবস্থান করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোভাবেই হাই কমিশন সংলগ্ন সড়কে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত লংমার্চ ও ঘেরাও কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার নাসির ফরহাদ জানান, কয়েকজন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের দফতর ঘেরাও করতে যায়। তবে পুলিশ তাদের সেটা করতে দেয়নি।
আমার বার্তা/এল/এমই

