প্রস্তাবিত বাজেটে নির্ধারণ করা বাড়তি কর অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
সোমবার (০২ জুন) রাতে ইনডিপেনডেন্ট টিভিকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, 'আমরা চাই ব্যবসা–বাণিজ্য সহায়ক বাজেট। এই বাজেটে সবমিলিয়ে গড়ে ২৮ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য দেশে গড়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়। বাজেটে কর বাড়ানো হয়েছে। আমাদের দেশে অধিকাংশ শিল্পের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কাঁচামাল আমদানি নির্ভর শিল্পে কর বাড়ানো হলে তা অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে না।'
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, 'আরেকটা বিষয় হলো বিদ্যুত সমস্যা। যদিও বাজেটে বিদ্যুতের দাম বাড়ায়নি। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন তিন–চার মাস পর পর জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারে। বাজেটে না বাড়লেও পরবর্তীতে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। বিদ্যুত সবসময় পাওয়া যাচ্ছে না। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য; প্রতিযোগিতিামূলক উৎপাদন ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনো উৎসাহ এই বাজেটে আমি দেখতে পাইনি।'
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আবদুল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, 'নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচিতসরকারই শুধু একটা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্ত করতে পারে। বাজেটের একটা নির্বাচনী চরিত্র থাকে। নির্বাচনী বৈশিষ্ট থাকে। নির্বাচনের সময় যেসব দল জনগণের কাছে যায়, তারা প্রতিজ্ঞা করে– অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করার ব্যাপারে। এই সরকার তো নির্বাচিত সরকার নয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও মূল্যস্ফিতি কমানোর জন্য নির্বাচন দরকার।'
প্রসঙ্গত, সোমবার ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসেবে গত অর্থবছরের চেয়ে বাজেটের আকার কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
আমার বার্তা/জেএইচ