বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং সব অ্যাডহক কমিটি আগামী ১ ডিসেম্বর বিলুপ্ত করার নির্দেশনা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এটি এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
পরিপত্রটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ৮ সেপ্টেম্বর জারি করেছিল। এর মাধ্যমে নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির জন্য ২০২৪ সালের প্রবিধানমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির জন্য যোগ্যতা সংক্রান্ত বিধি ৬৪(৩) এবং মনোনয়ন সংক্রান্ত বিধি ১৩(১)।
এ সংশোধিত বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এমরান হোসেনসহ চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গত রোববার হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জানান, দেশের নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংশোধিত প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নবম গ্রেডের নিচে কোনো কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা ছাড়া কেউ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে পারবে না। তিনি বলেন, এতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সভাপতি পদে পাবলিক সার্ভেন্ট ছাড়া অন্যদের জন্য সুযোগ সীমিত হয়ে যাচ্ছে, যা বৈষম্যমূলক।
রিট আবেদনের মাধ্যমে সংশোধিত ১৩(১) এবং ৬৪(৩) বিধির বৈধতা পরীক্ষা করার জন্য আদালতে আপিল করা হয়েছে। এই আদেশের ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় না দেওয়া পর্যন্ত সংশোধিত সময়সীমা কার্যকর হবে না।
আমার বার্তা/এল/এমই