
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানুয়ারিতে শিক্ষকদের বদলি চালু হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় আরও পেছানো হবে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে। এ সময়ের মধ্যে বদলির সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব নয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বদলিসহ অন্যান্য কাজ করা সম্ভব হবে না। ফলে জানুয়ারি মাসে শিক্ষকরা বদলিও হতে পারবেন না।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষকরা নির্বাচনের সময় নানা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ফলে নির্বাচনের ওই সময়টার মধ্যে শিক্ষকদের বদলি করাটাও কঠিন হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বদলির সফটওয়্যার এখনো তৈরি হয়নি, সফটওয়্যার তৈরির পর বদলি কবে চালু করা যাবে সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আরেক কর্মকর্তা বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনের কারণে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে শিক্ষকদের বদলি চালু করা সম্ভব হবে না। নির্বাচনের পর বদলি কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মার্চ মাস থেকে শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
জানা গেছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা নিয়োগ পেলেও দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে থেকে যান, যা শিক্ষকতা পেশার বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বদলির সুযোগ চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এক দফায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দফায় ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বদলির সুযোগ দাবি করে আদালতে রিট করলে আবারও এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সব বাধা উৎরে টেলিটকের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি এবং এনটিআরসিএর সনদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলি চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য পেছানো হচ্ছে বদলি কার্যক্রম। ফলে এ বদলি নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। ফলে শিক্ষকদের অপেক্ষার প্রহর বাড়ল।
আমার বার্তা/এল/এমই

