ই-পেপার মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

চলচ্চিত্রশিল্প ধ্বংসের নীল নকশা?

বিশেষ প্রতিবেদক:
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০২

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলচ্চিত্র যখন অন্যতম প্রধান শিল্পমাধ্যম হিসেবে বিকশিত হচ্ছে বাংলাদেশে তখন চলচ্চিত্র শিল্প ও বাণিজ্যকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এফডিসিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে।

১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ অঞ্চলের চলচ্চিত্রের কৌশলগত ও গুনগত মানোন্নয়নে মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে এ প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে একবিংশ শতকের শুরু অবধি অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এফডিসিতে। জহির রায়হান, আমজাদ হোসেন, সুভাষ দত্ত এর মতো খ্যাতনামা নির্মাতা কিংবা রাজ্জাক, কবরী, সুচন্দা, ববিতা, আলমগীর, শাবানা, ফারুক, মান্না, সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর এদের মত আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার অভিনেতা উঠে এসেছেন এফডিসি থেকেই। এই একই সময়কালের মধ্যে এফডিসি ৭ বার সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান।

পরবর্তীকালে এফডিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে গুটিকয়েক প্রযোজক নামধারী দূর্নীতিবাজ অর্থ লোপাট করা শুরু করে। যা এফডিসির ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ধীরে ধীরে লাভজনক একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখ দেখা শুরু করে। ২০০০ পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রে নজিরবিহীন পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সর্বত্র চলচ্চিত্র নির্মাণে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলেও এফডিসিকে যুগোপযোগী রাখার জন্য আধুনিকায়নের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলশ্রুতিতে নির্মাতারাও মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। তৎকালীন সরকার এফডিসি’র আধুনিকায়নের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও স্বার্থান্বেষী একটি মহলের তৎপরতায় সেগুলোরও যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। গত ১৫ বছরে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর হিসেবে খ্যাত এফডিসি প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাঁড়ায়।

বর্তমান বিপ্লবী সরকার দায়িত্ব গ্রহন করার পর এফডিসির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বেশকিছু রদবদল আনা হয়। গত এক বছরে এফডিসির সেবাসমূহের মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও এফডিসিকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। চলচ্চিত্রশিল্পের বিভিন্ন অংশীজনের সাথে সমন্বয় এর ভিত্তিতে বিভিন্ন সেবার মূল্য পুনঃনির্ধারন করা হয়। এছাড়াও দেশের চলচ্চিত্রের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নকল্পে ই-টিকেটিং ও সেন্ট্রাল সার্ভার সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একদিকে পাইরেসি যেমন বন্ধ হয়ে যাবে তেমনি প্রযোজকদের লগ্নিকৃত মূলধন উঠে আসা ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হবে। এসব উন্নয়নমূলক উদ্যোগের কারণে অতি সম্প্রতি এফডিসিতে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিগত আগস্ট মাসের প্রায় প্রতিদিনই এফডিসি’র সচল শ্যুটিং ফ্লোরগুলোর সিংহভাগই ব্যস্ত ছিল। বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নাটক, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞানপনচিত্রের শ্যুটিং এর কাজ করেছেন এসব ফ্লোরে। এছাড়াও ‘বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মানাধীন ১৫ তলা ভবনের প্রায় ৪৬ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি ইতোমধ্যে সাধিত হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন এ ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে নিশ্চিতভাবেই পুনরায় সরকারের একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এফডিসি।

নানামুখী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এফডিসি কেবল যখন তার হারানো জৌলুশ পুনরুদ্ধারের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে, তখনই একটি স্বার্থান্বেষী মহল চলচ্চিত্র বাণিজ্যকে নিজেদের কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে এফডিসি ধ্বংস করার চক্রান্ত শুরু করেছে। এ চক্রান্তের প্রথম ধাপ হিসেবে এফডিসির জায়গা ও সম্পদের বিকল্প ব্যবহারের চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এফডিসি’র জায়গা ও সম্পদের বিকল্প ব্যবহারের কথা উঠলে সর্বপ্রথম যে প্রস্তাব আসবে বলে ধারণা করা যায় তা হলো এটি একই ধরণের কাজ করে এমন কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে লিজ দিয়ে দেবার। এবং এতে স্পষ্টতই একটি নির্দিষ্ট মহলের স্বার্থ হাসিল হবে। লাভবান হবে সংশ্লিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহল এবং প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হবে এদেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অর্থাৎ নিশ্চিতভাবেই এটি চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।

বস্তুত, এফডিসির জায়গা বা সম্পদের বিকল্প ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা কিংবা এফডিসিকে বেসরকারী খাতে লিজ দেবার চেয়ে এফডিসির অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সেবার মানোন্নয়ন, শ্যুটিং সরঞ্জামের আধুনিকায়ন, দক্ষ লোকবল নিয়োগ প্রভৃতি কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নির্মাণযাত্রা সহজ করার পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরি এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিবেশকদেরকে আকৃষ্ট করে দেশীয় চলচ্চিত্রকে বিদেশের বাজারে পৌছে দেবার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরি।

আমার বার্তা/এমই

টিভি দেখতে বসে ব্রেন স্ট্রোক করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী

কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তনী মল্লিক সম্প্রতি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র শুটিং শেষ করেছেন। বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন।

দীপিকাকে বাদ দিয়ে লোভনীয় পদে আলিয়া ভাট

বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন ও আলিয়া ভাটকে প্রায়শই তুলনায় আনা হয়। তবে দুজনেই

পাঁচ বছর পর দেশে ফিরেছেন শাবানা

পাঁচ বছর পর দেশে ফিরেছেন সত্তর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা। পরিবার নিয়ে রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসের

সাবিনা ইয়াসমিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান

রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। গত রোববার সন্ধ্যায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভোলার ইলিশায় কোস্ট গার্ডের বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প

বাকেরগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা,গ্রেফতার তিন 

শার্শায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিশাল মিছিল ও লিফলেট বিতরণ

নিখোঁজের একদিন পর খালে মিললো শিশুর মরদেহ

কলাপাড়ায় সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার

ভারত থেকে দেশে ফিরলেন পাচারের শিকার বাংলাদেশি এক নারী

ব্রাহ্মণপাড়ায় ঈদ ই- মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসে মানুষের ঢল

কসবার বায়েকে ঝুঁকিপূর্ণ মঠের ইট ধসে প্রাণহানি ঘটলেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা

নেপালে জেন জি আন্দোলনে পুলিশের গুলি, নিহত বেড়ে ১৯ জন

নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ২৪৮০ কোটি টাকা সাশ্রয়: সাখাওয়াত হোসেন

সাংবাদিকরা স্বাবলম্বী না হলে দল বা গোষ্ঠীর পুতুল হয়ে যায়: মাহফুজ আলম

হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৩৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম

বহু মানুষের আত্মদানে আজকের স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ: তারেক

ডাকসু নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট জোরদার থাকবে: ডিএমপি কমিশনার

নেপালে জেন জি আন্দোলনে পুলিশের গুলি, নিহত বেড়ে ১৬ জন

বাচ্চাদের সব দাবি এই সরকার পূরণ করতে পারবে না: শারমীন মুরশিদ

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠক

চলতি মাসেই নিবন্ধন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চায় এনসিপি

মব করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার সুযোগ নেই: সেনাসদর