দেশের সাংবাদিকরা স্বাবলম্বী না হলে তারা কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতি পাপেট (পুতুল) হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
উপদেষ্টা বলেন, কারণ তারা সংসার চালাতে, জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে যান। এটা অতীতে হয়েছে। সাংবাদিকদের স্বাবলম্বী ও সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করা জরুরি।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের জন্য ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সঙ্গে গ্রুপ বিমা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউ’র শফিকুল কবির মিলনায়তনে এই চুক্তি সই হয়।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের সব সাংবাদিককে একসঙ্গে এই সুরক্ষা ও কল্যাণ কাঠামোর আওতায় আনা কঠিন কাজ। এটা ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এখন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি তিন মাস অন্তর অনেক সাংবাদিক এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। এছাড়া সাংবাদিকদের সন্তানদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক কল্যাণ ট্রাস্টের কাজের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি। কিন্তু অনেক সাংবাদিক কম বেতনে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। অনেকের বেতনের টাকায় বাসা ভাড়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এজন্য সাংবাদিকদের সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করে দিয়ে যাবো। পাশাপাশি নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। যদিও এটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া, সেখানে একাধিক মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আর যদি সবকিছু শেষ করা সম্ভব না হয়, পরবর্তী সরকার নিশ্চয়ই প্রক্রিয়াটা এগিয়ে নেবে।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজিম উদ্দিন।
আমার বার্তা/এমই