ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এদিকে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তৌফিক হাসান।
সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খানকে রোববার মধ্যরাতে শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয় ‘জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া’। গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় তারা একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সেগুনবাগিচায় বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) তে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর মধ্যে মামলার বাদী শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বেতারের মাধ্যমে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা পান। পনেরো মিনিট পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন বেশকিছু লোক রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দিচ্ছে এবং একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছে। বাদী বক্তব্যরত ব্যক্তিকে হেফাজতে নেন এবং ওনাকে চিনতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।
এসময় উপস্থিত লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (৭৫) মঞ্চ ৭১-এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করে বক্তব্য প্রদান করছিল। তার এই ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের জন্য উপস্থিত লোকজন তাদেরকে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দিচ্ছিল। তিনিসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জন পরস্পর সহায়তাকারী হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার অপরাধ করেছেন।
গত ২৮ আগস্ট ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১-এর গোল টেবিল অনুষ্ঠান থেকে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলামের দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
আসামিরা হলেন- লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
আমার বার্তা/এমই