কলা হলো সবচেয়ে পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ফলের মধ্যে একটি। সকালের নাস্তায় অনেকে কলা খেয়ে থাকেন। খালি পেটে কলা খাওয়া কি উপকারী নাকি ক্ষতিকর? এটি কেবল আপনার পেট ভরিয়ে তুলবে না, সেইসঙ্গে করবে আরও কিছু কাজও। কলা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে এবং আরও অনেক উপকার নিয়ে আসে।
১. দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে
কলা খাদ্যতালিকায় নিয়মিত থাকা উচিত কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। কলা পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, যা শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এটি স্ট্যামিনা বাড়ায় এবং ক্ষুধার যন্ত্রণা কমায়।
কলায় তিনটি প্রাকৃতিক শর্করা থাকে- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ, যা শক্তি স্থিতিশীল এবং টেকসই করে। সকালে প্রথমেই একটি কলা খেলে বিপাক প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং প্রক্রিয়াজাত নাস্তার মতো শরীরের কোনো ক্ষতি করে না।
২. অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ডাক্তার এবং পুষ্টিবিদরা সকালের ফল হিসেবে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন, তার একটি কারণ রয়েছে। এটি দ্রবণীয় ফাইবার, বিশেষ করে পেকটিন সমৃদ্ধ, যা মসৃণ হজম এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে। খালি পেটে কলা খেলে তা অম্লতা প্রশমিত করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে মসৃণ মলত্যাগেও সহায়তা করে।
২০২০ সালের একটি গবেষণাপত্রও নিশ্চিত করেছে যে, কলা একটি প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং মাইক্রোবায়োমকে শক্তিশালী করে। এটি পুষ্টি শোষণ এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে
প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও কলার মাঝারি গ্লাইসেমিক সূচক প্রায় ৪৮। এর অর্থ হলো এটি ধীরে ধীরে চিনি ছেড়ে দেয়, যা হঠাৎ করে বৃদ্ধি না করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
এক মুঠো বাদাম বা বীজের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য আরও বজায় রাখা যায়। ফাইবারের পরিমাণ চিনির শোষণকে ধীর করে দেয়, যা শরীরকে চর্বি হিসেবে সংরক্ষণ করার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক শর্করা ব্যবহার করতে দেয়।