রাইফেলের মতো যেসব অস্ত্রের গুলিতে মানুষ মারা যেতে পারে সেগুলো ব্যবহারে পুলিশকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না। পুলিশের কাছে বড়জোর শটগান থাকতে পারে। এসব নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।
মঙ্গলবার (১৩ মে) আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল ১২ মে পুলিশের হাতে ‘মারণাস্ত্র’ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কাছে। পুলিশ তাদের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দেবে।
পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিষয়টা মিন করেছে সেটি হচ্ছে যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু যেমন- রাইফেল। রাইফেল থেকে বুলেট নির্গত হয়। এগুলো আমরা এভয়েড করব। আমরা আর্মামেন্টেরিয়াম(অস্ত্রাগার) নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব।’
আইজিপি বলেন, ‘অন প্রিন্সিপাল আমরা মনে করি যে, পুলিশ ক্যান নট বি এ কিলার ফোর্স। আমার কাছে বড়জোর শটগান থাকবে। এটাই একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা। যেসব জায়গায় বা বিশেষ জায়গাগুলোতে বিদ্রোহ হয় বা বিদ্রোহী থাকে সেসব জায়গায় পুলিশের কার্যক্রমটা ভিন্ন হয়। তবে স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কাছে যেন লিথাল ওয়েপন(প্রাণঘাতি মারণাস্ত্র) না থাকে। পুলিশের কাছে নন লিথাল ওয়েপন থাকাটা বিশ্বব্যাপী সমর্থন করে।’
এদিন মিরপুর-১৪ পুলিশ স্টাফ কলেজের পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হয়।
আমার বার্তা/এমই