বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন, সেই রকম যোদ্ধাকেই আমরা বেছে নেবো।”
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। এছাড়া পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান, বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। এছাড়া প্রশাসনে রদবদলের সময় নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন তারা।
প্রফেসর ইউনূস জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল তার তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য একাধিক ‘ফিট লিস্ট’ থেকে যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করে যথাযোগ্য স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা করব।”
বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া নিয়েও কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় সম্প্রতি ঘটানো অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা এবং এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কিনা তা অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আমার বার্তা/এমই