
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা, নিরপেক্ষতা ও আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। ইতোমধ্যে সংক্রান্ত ডিও লেটার মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত ডিও লেটার থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্যালট পেপারে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইসাথে অনুষ্ঠিত হবে উক্ত নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬৯ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৪৯৯ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটারসহ দেশের অভ্যন্তরে সরকারি চাকরীরত ব্যক্তিগণ (যিনি চাকরিসূত্রে তার নির্বাচনি এলাকা বা ভোটার এলাকার বাইরে দায়িত্বরত), নির্বাচন দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা (তিনি যে ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী, উক্ত কেন্দ্র ব্যতিত অন্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত) এবং জেলখানা বা আইনি হেফাজতে আটক থাকা ব্যক্তিগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতকল্পে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের যোগ্য ব্যক্তিগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একইসাথে, এ বিষয়ে আপনার সহযোগিতা আশা করছি।
এ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী যাতে দায়িত্বশীল হয়ে নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান সম্পর্কে সজাগ থেকে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করেন এবং উক্ত দায়িত্ব পালনে কোনরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন না করেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (সংযুক্ত) এর প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক তাদের উপর অর্পিত নির্বাচনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আমার বার্তা/এমই

