ই-পেপার শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

স্বাধীনতার নতুন অধ্যায় : আত্মপরিচয়ের পথে বাংলাদেশ

রহমান মৃধা:
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির জন্য একটি অনন্য অধ্যায়—স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এক চরম আত্মত্যাগের কাহিনী। আমি তখন এক শিশুমুক্তিযোদ্ধা। মায়ের হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আজও আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল। সেই সময় আমরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও দেখেছিলাম এক নতুন ভোরের সম্ভাবনা—একটি শোষণমুক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশ।

স্বাধীনতার পর, আমার দেখা বাংলাদেশ ছিল একটি পরিবর্তনের সূচনা। মাঠ, পুকুর, বর্ষার ধারা, এবং গ্রামের নিস্তরঙ্গ জীবন তখনও ছিল আমাদের সংস্কৃতির মর্মমূলে। কিন্তু সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পেছনে ছিল চরম দারিদ্র্য, অশিক্ষা, এবং বৈষম্যের অন্ধকার।

আমার দেখা বাংলাদেশ একদিকে যেমন ঐতিহাসিক ঐক্যের উদাহরণ, অন্যদিকে এটি রাজনৈতিক বিভাজন ও অনিশ্চয়তার প্রতিচ্ছবি। আমি দেখেছি, কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সাহস আর একতাকে আমরা ধীরে ধীরে ভুলতে বসেছি।

এখনও আমার মনে হয়, স্বাধীনতার পর আমরা যেই স্বপ্ন দেখেছিলাম, তার পূর্ণতা পেতে হলে আমাদের শুধু অতীতের স্মৃতি আঁকড়ে ধরা নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

স্বাধীনতার কালো অধ্যায়: ধারাবাহিক সংকটের যাত্রা

স্বাধীনতার রক্তাক্ত সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালে আমরা পেয়ে গেলাম কাঙ্ক্ষিত বিজয়। কিন্তু সেই বিজয়ের আনন্দ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এ হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির জন্য এক গভীর আঘাত এবং ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাকশাল গঠন এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন দেশকে এক সংকটময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছিল। এর প্রভাব থেকে জাতি তখনো বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়ে গেল।

এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলেন। তার শাসনামলে কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তার আমল ছিল নাটকীয়, এবং তিনিও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। তার স্বৈরশাসন বারবার দেশের গণতান্ত্রিক স্বপ্নকে আঘাত করে।

পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র ক্ষমতার পালাবদলে রাজনৈতিক অস্থিরতা যেন এক ধারাবাহিক চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। দুর্নীতি, দলীয় স্বার্থপরতা এবং ক্ষমতালোভী রাজনীতির কারণে দেশের গণতন্ত্র এক গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়।

শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে ভারতের প্রভাব ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জাতীয় স্বার্থের চেয়ে বৈদেশিক সম্পর্ক বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় দেশের শাসনব্যবস্থায় স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা দেখা দেয়, যা স্বাধীনতার মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

এই কালো অধ্যায়গুলো আমাদের জন্য শুধু শোকের বিষয় নয়, বরং শিক্ষা নেওয়ারও একটি সুযোগ। সংকটের এই দীর্ঘ যাত্রা থেকে আমাদের বুঝতে হবে, দেশের স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির জন্য ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা

১৯৮৫ সালে সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমানো ছিল আমার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। দেশ ছেড়ে বিদেশে পা রাখার পরও বাংলাদেশের প্রতি আমার ভালোবাসা কখনও কমেনি। সুইডেনের সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং মানুষের অধিকার বিষয়ক কাঠামো আমাকে শিখিয়েছে যে, একটি দেশ সঠিক নেতৃত্বে কীভাবে বিকশিত হতে পারে।

প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য আমি সবসময় সচেষ্ট থেকেছি। আমার গবেষণা এবং লেখালেখির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন এবং ন্যায়বিচারের বিষয়গুলো প্রচার করার চেষ্টা করেছি। প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং তাদের দেশের উন্নয়নে ভূমিকা নিশ্চিত করতে দেশের শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন।

স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ ও নতুন সম্ভাবনা

১৯৭১ সালে অর্জিত স্বাধীনতা কেবল একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতা ছিল না; এটি ছিল বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং সামাজিক মুক্তির জন্য একটি প্রতীক। আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা বুঝতে পেরেছি যে সেই লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জিত হয়নি।

স্বাধীনতার পর দেশের শাসনব্যবস্থায় দুর্নীতি, বৈষম্য এবং রাজনৈতিক দখলদারিত্ব আমাদের মুক্তির স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ভারতের প্রভাব, ক্ষমতালোভী রাজনীতি, এবং নীতিহীন নেতৃত্ব দেশকে এক নতুন ধরনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছে। এর ফলে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আমাদের নাগালের বাইরে থেকে গেছে।

তবে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। এই আন্দোলন ছিল জাতির আত্মপরিচয় পুনর্নির্মাণের একটি নতুন অধ্যায়। এটি শুধু একটি প্রতিবাদ ছিল না; এটি ছিল নতুন প্রজন্মের প্রতিজ্ঞা, যারা ভারতের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে।

এই নবজাগরণের মধ্যে দিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি যে স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে ভাবতে, কাজ করতে এবং নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

বর্তমান প্রজন্মের সামনে এখন একটি বিরাট দায়িত্ব রয়েছে—স্বাধীনতার অপূর্ণ অধ্যায়গুলো সম্পূর্ণ করা। তারা সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতির অবসান, এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা কেবল অতীতের একটি গৌরবগাঁথা নয়; এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য একটি চলমান সংগ্রাম।

নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব

স্বাধীনতার চেতনা কেবল ইতিহাসের একটি অধ্যায় নয়; এটি প্রতিটি প্রজন্মের জন্য একটি দায়বদ্ধতা। আজকের তরুণদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক, এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গড়া। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, তরুণদের উচিত দেশের নেতৃত্বে এগিয়ে আসা।

আমার বিশ্বাস, তরুণরা পারে দেশের প্রকৃত পরিবর্তন আনতে। তাদের প্রতি আমার বার্তা হলো:

নিজের পরিচয় গর্বের সঙ্গে ধারণ করো।

স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় সচেতন থেকো।

দেশের প্রতি ভালোবাসা কাজে প্রমাণ করো।

ন্যায়, সততা এবং মানবিকতাকে মূলনীতি বানাও।

নতুন বাংলাদেশের গঠন: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

স্বাধীনতা অর্জন ছিল আমাদের জাতির এক বিরাট সাফল্য, তবে এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সেই স্বাধীনতার সঠিক বাস্তবায়ন। একটি দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক এবং আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।

এজন্য আমাদের কিছু বিশেষ দিক নিয়ে কাজ করতে হবে:

১. রাজনৈতিক ঐক্য:

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ থাকা সত্ত্বেও আমাদের একক লক্ষ্য হওয়া উচিত—জাতির কল্যাণ। ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন প্রমাণ করেছে যে যখন জনগণ এক হয়ে কাজ করে, তখন কোনো শক্তি তাদের বাধা দিতে পারে না। এখন সময় এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার, যাতে তারা একত্রে কাজ করে দেশের জন্য উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

রাজনীতিতে জনস্বার্থকে সবচেয়ে বড় গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের উচিত নিজেদের পার্টির স্বার্থ নয়, বরং দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া। রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য একত্রিত হতে হবে।

২. অর্থনৈতিক শক্তি:

অর্থনীতির উন্নতি ছাড়া কোনো দেশই প্রগতি লাভ করতে পারে না। আমাদের দেশের অর্থনীতি বর্তমানে নানা সমস্যার মুখোমুখি, যেমন দুর্নীতি, বৈষম্য এবং কার্যকর নীতির অভাব। তবে, দেশের সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি।

এজন্য আমাদের উচিত দেশের অপ্রত্যাশিত সম্পদ—কৃষি, শিল্প, এবং প্রযুক্তি—সম্ভাবনার দিকে মনোযোগ দেওয়া। দেশের মানুষের জন্য চাকরি এবং স্বচ্ছ অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে পুনর্গঠন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নতি সম্ভব।

৩. সামাজিক ন্যায়বিচার:

একটি দেশের শক্তি শুধু অর্থনৈতিক অবস্থান বা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে না; বরং এটি নির্ভর করে সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর। আমাদের সমাজে এখনো অনেক অসামঞ্জস্য এবং বৈষম্য রয়েছে। আমরা যদি একটি সুশাসিত দেশ গড়তে চাই, তবে আমাদের সমাজে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

দুর্নীতি, বৈষম্য এবং শোষণকে আমাদের অতিক্রম করতে হবে। প্রতিটি মানুষের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমাজে সুষম উন্নয়ন সাধিত হয়। শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক উন্নতিও হতে হবে সমান এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে।

এখন আমাদের লক্ষ্য একটি সমৃদ্ধ, ন্যায়ভিত্তিক এবং আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই লক্ষ্য সহজ নয়, তবে একসাথে কাজ করে, সাহস, সততা এবং দেশপ্রেমের শক্তি দিয়ে আমরা এক উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

অর্থনীতির উন্নতি ছাড়া কোনো দেশই প্রকৃত প্রগতি লাভ করতে পারে না। আমাদের দেশের অমূল্য সম্পদ—কৃষি, শিল্প, এবং প্রযুক্তি—ঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে, যাতে এগুলো আমাদের উন্নয়নের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।

এই পথ কঠিন, তবে একত্রে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে যদি আমরা এগিয়ে চলি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই একটি সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।

উপসংহার: আগামীর পথে এগিয়ে চলা

আজ যখন আমি অতীতের স্মৃতি থেকে চোখ তুলে ভবিষ্যতের দিকে তাকাই, তখন আমার মনে পড়ে সেই সোনালী দিনগুলির কথা, যখন আমাদের গ্রাম, পুকুর, মাঠ, এবং বর্ষার দিনগুলো ছিল এক সুন্দর ও স্নিগ্ধ আবহে মোড়া। সেই স্মৃতির রূপকল্প থেকে আজ আমরা আমাদের সোনালী বাংলা পুনর্নির্মাণ করতে পারি, যদি আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি।

আমি নতুন প্রজন্মের ওপর দৃঢ় আস্থা রাখি, এবং বিশ্বাস করি, তারা একদিন দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসিত, এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তরুণদের এখনই সময় এগিয়ে আসার—তারা দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, এমন বিশ্বাস আমার।

বাঙালির ইতিহাসে যখনই কোনো সংকট এসেছে—ভাষার অধিকার রক্ষা, স্বাধীনতা সংগ্রাম, কিংবা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম—তখনই তরুণেরা প্রথমে এগিয়ে এসেছে, তাদের জীবনকে দেশের জন্য উৎসর্গ করেছে। কিন্তু আজ যখন তারা দেশের শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ন্যায়, সুবিচার, এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তখন অনেকেই তাদের অবজ্ঞা করে। পুরনো, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা বলে, “তরুণরা অভিজ্ঞ নয়, তাদের শাসনব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।”

এমন অবস্থায় আমার একটাই প্রশ্ন—যদি আমাদের কোনো দুর্দিনে কাউকে বিশ্বাস করতে হয়, তবে সেই বিশ্বাসের যোগ্য শুধু নতুন প্রজন্মই হতে পারে। যারা নিজেদের জীবন দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করতে পারে, তারা অবশ্যই দেশের নেতৃত্বের যোগ্যতা রাখে। এই সত্যটি আমাদের সবার মন-প্রাণ দিয়ে মেনে নিতে হবে।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের নতুন প্রজন্মই পারবে সোনালী বাংলাদেশকে আবার গৌরবান্বিত করে তুলতে। আসুন, আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, এবং আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের জন্য কাজ করি।

আমার দেখা বাংলাদেশ—এটি শুধু অতীতের স্মৃতি নয়, বরং এটি একটি জাতির আত্মত্যাগ, অগ্রগতি এবং আমাদের ভবিষ্যতের জন্য দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক। এটি সংগ্রামের এক অবিনশ্বর প্রতিচ্ছবি, যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং প্রতিটি নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে আমাদের আশা জাগিয়ে তোলে।

লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।

ভাষা আন্দোলনের চেতনা

পাকিস্তানের জন্মের মাস সাতেক পরে, ১৯৪৮ সালের মার্চে মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ যখন তার জীবনের প্রথম

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জাতীয় উন্নয়নে বড় হুমকি

আমাদের দেশের রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ ও বৈশিষ্ট্য তার প্রতিবেশীদের থেকে স্বতন্ত্র৷ শ্রীলংকা বা পাকিস্তানে যেমন

জেনজে প্রজন্মের রাজনীতির নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও চ্যালেঞ্জ

বর্তমান বিশ্বে, বিশেষত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, জেনজে (Gen Z) প্রজন্মের রাজনীতি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনায়

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস : গড়ি ঘরে ঘরে পাঠাগার

৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। পৃথিবীর অনেক দেশে গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়। এবারের (২০২৫
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চিটাগংকে কাঁদিয়ে বিপিএলে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

৮ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

শাওন ও সাবাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিলো ডিবি

৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা

বিবিসি বাংলার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রেস সচিব

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিলো গর্ভবতী নারীকে

সৌদি আরবে অনেক খালি জায়গা আছে, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করুক: নেতানিয়াহু

শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন

প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

হযরত শাহ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে নতুন ফিচার

গাজাবাসীকে সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা

ফের নিষেধাজ্ঞায় পড়লো পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন

লিবিয়ায় ২৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার

জুমাকে কেন্দ্র করে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি: মামুনুল হক

দুবাই ফেরত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ ৬ দফা দাবি

নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়েছিল, সেই গডফাদার কোথায়?

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ অফিসকে ‘পাবলিক টয়লেট’ করার ঘোষণা