
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা না হয়, বৃহৎ ষড়যন্ত্রের ছোট্ট একটি অংশ মাত্র। পরিকল্পিতভাবেই এ হামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই আসল ঘটনা প্রকাশ হোক। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের মুখোশ উন্মোচন হোক।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ও ঢাকা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সফু।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ১৭ বছর আন্দোলনের পর কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি। হাদি আমার সন্তানতুল্য। হামলার খবর শুনে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পরেছি। আমি মনে করি, এ আঘাত হাদির ওপর নয়, বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার ওপর। তাই কালো শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মির্জা আব্বাস প্রশ্ন রেখে বলেন, হামলার একঘণ্টা পর একটি পক্ষ ফেসবুকে লিখেছে— যে যেখানে আছো, বের হয়ে আসো। আমরা মনে করি, পরিকল্পিতভাবেই এ হামলা হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে যারা আক্রমণাত্মক স্লোগান দিয়েছে, তারা বিশেষ একটি দলের নেতাকর্মী। তারা অনেক বেয়াদবি করেছে।
তবে আমি নির্দেশনা দিলে আমার নেতাকর্মীরা তুলোধুনো করে দিতো।
মব সৃষ্টিকারীরা চেয়েছিল— হাদি মারা যাক। আর আমরা তাকে বাঁচাতে চাই। তাই নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছি। তিনি বলেন, ওই পক্ষটির চরিত্র একাত্তর ও সাত চল্লিশে দেখেছি।
অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের সঙ্গে নিজের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, হাদি সহযোগিতা চাইলেই আমি সহযোগিতা করতাম। আমরা চাই, সে আবারও নির্বাচনে ফিরে আসুক। সে আমার শত্রু নয়, প্রতিযোগী। আগে শত্রু ছিল একটি , আর এখন বহুমুখী শত্রুর কবলে বাংলাদেশ। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, দেশে যেন নির্বাচন না হতে পারে, তাই ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই প্রার্থীর ওপর হামলা করা হয়েছে। ভারতের বসে এ ধরনের হামলার ইন্দন দিচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তিনি অভিযোগ করেন, তারেক রহমান যেন দেশে না আসতে পারেন, সে ষড়যন্ত্র চলছে।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, তফসিলের পর এ ধরনের হামলা পরিকল্পিত। একটি পক্ষ মব সৃষ্টি করছে।
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তাই গুপ্ত ও আওয়ামী সন্ত্রাস এক হয়ে গেছে। তবে দেশের মানুষ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দেবো। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন হাদিকে দেখতে গিয়ে মির্জা আব্বাসের ওপর মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানান তিনি।
আমার বার্তা/এমই

