
মালদ্বীপে কর্মরত বিভিন্ন দেশের বৈধ-অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে শুরু হচ্ছে ‘হামামাগু’ নামের এক বিশেষ অভিযান। অভিবাসী কর্মীরা আইন ও কর্মী ভিসার বিধিবিধান মেনে কাজ করছেন কি না, সে লক্ষে এই বিশেষ অভিযান চালু করছে দেশটির অভিবাস বিভাগ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আলী ইহুসান এবং ইমিগ্রেশন কন্ট্রোলার জেনারেল আহমেদ ফাসিহ মাইগ্রেশন মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রাম (এমএমসিপি) উদ্বোধন করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিবাসী মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রামের লক্ষ্য মালদ্বীপে কর্মরত অভিবাসী কর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করাসহ তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া। পাশাপাশি, তারা মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করা।
এ লক্ষ্যে প্রথমত রাজধানী মালে-তে এই বিশেষ অভিযান মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। যেসব এলাকায় অভিবাসী কর্মীরা বসবাস করেন এবং ঘন ঘন চলাফেরা করেন, সেসব এলাকায় দেশটির অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তারা সক্রিয় থাকবেন।
এর আগে অভিবাসন কর্মকর্তাদের যেকোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল, তবে নতুন অভিযানে পুরো রাজধানীজুড়ে টহল বাড়ানো হবে।
তবে এই বিশেষ অভিযান চালু হওয়া সত্ত্বেও, পূর্বের ‘'ইমিগ্রেশন ওয়াচ’ নামের অভিযানও অব্যাহত থাকবে। কারণ ইমিগ্রেশন ওয়াচের মাধ্যমে স্থানীয় নাগরিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নতুন এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য দেশটির বর্তমান সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যার লক্ষ্যে দেশটিতে কর্মরত বিভিন্ন দেশের ১ লাখ ৯১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সম্পন্ন করার পাশাপাশি মালদ্বীপ থেকে ৯ হাজারেও বেশি অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি মালদ্বীপের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) আয়োজিত ‘ধীভিঙ্গে রাজ্জে’ সমাবেশে দেয়া এক ভাষনে প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু জোর দিয়ে বলেন, ‘মালদ্বীপে বসবাসরত একজন অভিবাসী কর্মীও বায়োমেট্রিক তথ্য বা তাদের সম্পূর্ণ বিবরণ না দিয়ে দেশটিতে থাকতে পারবেন না।’
আমার বার্তা/এল/এমই

