
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ৪০ জন পেশাজীবীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে জমকালো গালা অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব দাতুক আজমান মোহাম্মদ ইউসুফ।
হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ আয়োজন করে। ২০০১ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এইচআরডি অ্যাওয়ার্ডস মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতির মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের আয়োজনে রেকর্ড ৭৭০টি মনোনয়ন জমা পড়ে। গত বছরের ৪৯৩টির তুলনায় যা ২৭৭টি বেশি। দাতুক আজমান বলেন, মনোনয়নের এই বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হলো দক্ষ ও সৃজনশীল মানবসম্পদ। প্রযুক্তি যতই এগোক, শেষ পর্যন্ত দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে মানুষের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও দৃঢ়তা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এইচআরডি অ্যাওয়ার্ডস এখন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন অঙ্গনের সেরা কৃতিত্ব মূল্যায়নের জাতীয় মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. সৈয়দ আলউই মোহামেদ সুলতান। তিনি বলেন, প্রতি বছর এই পুরস্কার সেই সব প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণ সংস্থা ও ব্যক্তিকে সম্মান জানায় যারা প্রতিভা বিকাশ, উদ্ভাবন এবং কর্মক্ষেত্রের মানোন্নয়নে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি অবদান রাখেন।
তিনি আরও জানান, দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ যেন আধুনিক অর্থনীতির দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়, এটিই তাদের মূল লক্ষ্য।
এবার মোট সাতটি প্রধান বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। যথাক্রমে- হিউম্যান রিসোর্সেস মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড, লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আইকন অ্যাওয়ার্ড, আসিয়ান ইয়ার অব স্কিলস স্পেশাল রেকগনিশন অ্যাওয়ার্ড, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন অ্যাওয়ার্ড, রিজিওনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড, এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডস, লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড।
বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয় কয়েক ধাপের কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেখানে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিল্প বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন জাতীয় সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এইচআরডি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫ আবারও প্রমাণ করেছে যে বিশ্বমানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে মালয়েশিয়া দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে সক্ষম, প্রগতিশীল ও উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মশক্তি গড়ে তোলাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
আমার বার্তা/এল/এমই

