পবিত্র রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সারাদেশের মতো বরিশালেও উপকারভোগীদের মধ্যে টিসিবির পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে বরিশাল সদর উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ড রায়পাশা-কড়াপুর এলাকায় উপকারভোগীদের মধ্যে টিসিবির পণ্যসামগ্রী বিক্রয় কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি করেন। বরিশাল নগরের ১২টি স্পটে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কাজে সরাসরি সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা।
এছাড়া সিটির বাইরের উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯০ হাজার এবং সিটি করপোরেশন ব্যতীত জেলার ১০ উপজেলা ও সব পৌরসভায় এক লাখ ২৯ হাজার ৯২১ উপকারভোগী এ সুবিধার আওতায় থাকবে।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস জানান, টিসিবির পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাভিত্তিক উপকারভোগীদের কার্ড দেওয়াসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি করে চিনি, ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মশুর ডাল ও ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এর সঙ্গে আরও দুই কেজি করে ছোলা দেওয়া হবে। প্রতিকেজি ছোলার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।
টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী মো. আল আমীন হাওলাদার বলেন, মোট ৪২ জন ডিলারের মধ্যে প্রতিটি উপজেলায় একজন ও সিটি এলাকায় ১২ জন ডিলার আজ সোমবার ভোক্তাদের হাতে পণ্য তুলে দেবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়ম রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ ভোক্তা অধিকার মাঠে কাজ করছে। পণ্য বিতরণে কোনো অনিয়ম পেলে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।