
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা ছিল একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এই দেশকে অন্য একটি দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চবি উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। তারা (পাকিস্তান সেনাবাহিনী) ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা জীবিত না মৃত অবস্থায় ফিরবে- সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে- এই ধারণা রীতিমতো অবান্তর।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত গুমের শিকার জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। তাকে যদি খুঁজে পাওয়া যেত, তাহলে আমরা প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারতাম- ১৪ ডিসেম্বর কারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই

